Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১২ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩৯

ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে টানা দুই বছর বন্ধ থাকার পর পালন করা হচ্ছে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ।

রোববার (১২ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ। স্বাগত বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘করোনাকালীন সাময়িক বিরতির পর আবার নতুন আঙ্গিকে, নতুন সম্ভাবনায়, নতুন উদ্দীপনায়, মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের নব উদ্দমে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের নবতর পথ পরিক্রমার সূচনা হলো।’

তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকার পুরোনো ধারার শিক্ষার খোলনলচে পাল্টে এমন এক নতুন শিক্ষার বীজ বপনের কাজে হাত দিয়েছে, যা শিক্ষার্থীর মস্তিষ্ক ও পিঠ থেকে মুখস্থবিদ্যার বোঝা ঝেড়ে ফেলে তাদের কৌতুহল, জিজ্ঞাসা, অনুসন্ধান, গবেষণা ও ভাবনার শক্তিকে জাগাবে ও নেতৃত্বের গুণাবলী তৈরিতে উপযোগী করে তুলবে।’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সরকার সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষক নিয়োগ, অনলাইনে বদলি, শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছরে উন্নীতকরণ, নতুন পাঠ্যক্রম প্রণয়ন, প্রাথমিক বৃত্তি দেওয়াসহ প্রাথমিক শিক্ষার গুণগতমান বাড়াতে একগুচ্ছ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।’

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বলেন, ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর আগামী দিনের সুনাগরিক গড়ে তুলতে শিশুদের শিক্ষার জন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতায় কাজ করে যাচ্ছে।’

শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর দেশব্যাপী ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, শিক্ষামেলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ঢাকার জাতীয় অনুষ্ঠানে ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ শিশুসহ ১১১ জন এবং ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুসহ ১০৫ জন। এ ছাড়া ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ৪২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সনদ দেওয়া হয়।

পদক নীতিমালা-২০১৩ অনুযায়ী, পদকপ্রাপ্তরা ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী শিশুরা যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পান। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীরা ২৫ হাজার টাকা, একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট পেয়েছেন।

সারাবাংলা/জেআর/ইআ

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর