ওয়াগনের সঙ্গে সংঘর্ষ: সংকেত অমান্য করা বাসচালক গ্রেফতার
১৩ মার্চ ২০২৩ ১২:৪১
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে তেলবাহী রেলের ওয়াগন ও বাসের সংঘর্ষে রেলকর্মীসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় বাসচালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াগন অতিক্রমের সময় পয়েন্টসম্যানের সংকেত অমান্য করে চালক বাসটি রেললাইনে তুলে দেওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছিল।
রোববার (১২ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার দাঁতমারা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে রেলওয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানিয়েছেন।
গ্রেফতার মো. খোরশেদ আলম খোকনের (৩৪) বাড়ি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাসা চট্টগ্রাম নগরীর বন্দরটিলা এলাকায়। খোরশেদ নগরীর ১২ নম্বর রুটের মিনিবাস চালক ছিলেন।
গত ৬ মার্চ রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর ইপিজেড থানার নিউমুরিং এলাকায় বিমানবন্দর সড়কে মেঘনা অয়েল ডিপোর সামনে ওয়াগন ও মিনিবাসের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
নিহতরা হলেন- রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে কর্মরত পয়েন্টসম্যান আজিজুল হক (৩০) এবং পথচারী আসাদুজ্জামান (৩০) ও বাসযাত্রী মিটন কান্তি দে (২৫)।
রেলওয়ে পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, তেলবাহী ওয়াগনটি মেঘনা অয়েলের ডিপোতে প্রবেশ করছিল। আর ১২ নম্বর রুটের মিনিবাস চালিয়ে খোরশেদ বিমানবন্দর এলাকা থেকে ইপিজেডের দিকে যাচ্ছিল। ওয়াগন রেললাইন অতিক্রমের সময় সেখানে দায়িত্বরত রেলের পয়েন্টসম্যান আজিজুল হক বাসটিকে থামার সংকেত দেন।
কিন্তু সংকেত অমান্য করে বাসটি এগিয়ে গেলে ওয়াগনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়ে উল্টে যায়। এতে রেলের ওই পয়েন্টসম্যানসহ তিনজন নিহত হন।
এ ঘটনায় চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু জাফর খান বাদী হয়ে বাসচালককে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
চট্টগ্রামের রেলওয়ে পুলিশের এসপি হাছান চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর বাসচালক খোরশেদ পালিয়ে ফটিকছড়িতে তার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, সংকেত বুঝতে না পেরে সে বাসটি এগিয়ে নিয়েছিল। ধাক্কা লাগবে বুঝতে পেরে সে বাসটি পেছনে টান দেয়ার জন্য ব্রেক কষলেও থামাতে পারেনি। বরং ধাক্কা লেগে সেটি উল্টে যায়।’
‘খোরশেদের দাবি, বাস থেকে সেও রাস্তায় ছিটকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। তবে হুঁশ ফেরার পর দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়ে। ওই রাতেই সে ফটিকছড়িতে শ্বশুরবাড়ি চলে যায়। গত ছয়দিন সে আর শহরে আসেনি।’- বলেন এসপি হাছান চৌধুরী।
সারাবাংলা/আরডি/ইআ