সুলতান ডাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায়নি ভোক্তা অধিকার
১৩ মার্চ ২০২৩ ১৪:৫৯
ঢাকা: খাবারের মান নিয়ে সুলতান ডাইনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রমাণ পায়নি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো অভিযোগ সুলতান ডাইনের বিরুদ্ধে পাওয়া যায়নি। যে মাংস নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, সেখানে খাসি ছাড়া অন্য কোনো মাংস ছিলো না বলে শুনানিতে সুলতান ডাইনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৩ মার্চ) জাতীয় ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে সংবাদ ব্রিফিংয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর এসব জানায়।
প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী ভোক্তা সংরক্ষণ অধিকার ভোক্তাদের অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে কিনা সেটা পর্যবেক্ষণ করে থাকে। সেই দিক থেকে সুলতান ডাইনের খাবার নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট নজরে আসার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সুলতান ডাইন পরিদর্শন করি। এরপর সুলতান ডাইন কর্তৃপক্ষকে ডাকা হয়। তাদের শুনানি হয়। সেখানে তারা অভিযোগের ব্যাখ্যা দিয়েছে।’
ফেসবুকে যে বিরিয়ানিতে মাংসের হাড় চিকন এবং অন্য প্রাণির বলা হচ্ছে, সে ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে ওই বিরিয়ানিতে খাসি ছাড়া অন্য কোনো প্রাণির উপস্থিতি ভোক্তা অধিকার খুঁজে পায়নি। অধিদফতর ফেসবুকে অভিযোগ করা ব্যক্তিকে ফোন করেছে, তিনি তা রিসিভ করেননি। পরে তার ঠিকানায় গিয়েও পাওয়া যায়নি। যে কারণে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর মনে করে সুলতান ডাইনের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা সঠিক নয় বলেও জানান তিনি।
মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘এর আগে ভোক্তা অধিকারে একজন ভোক্তা মাংস নিয়ে অভিযোগ করেন। সেখানে আমরা প্রাণিসম্পদ থেকে পরীক্ষা করিয়ে দেখেছি ওই মাংস গরুর। সব ভোক্তার অধিকার সংরক্ষণে বদ্ধ পরিকর এই প্রতিষ্ঠান। খাবারের মান নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ খাদ্য কাজ করে, বিএসটিআই কাজ করে তেমনি এর সঙ্গে ভোক্তা অধিকারও যুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘পাঁচ তারকা থেকে ফুটপাতের হোটেলেও আমরা গিয়েছি। সুলতান ডাইনের ক্ষেত্রেও ভোক্তা অধিকার ক্ষুন্ন হয়েছে কিনা তা জানতে সুলতান ডাইন আমরা পরিদর্শন করি। বিষয়টি আরও নিবিড়ভাবে জানতে সুলতান ডাইন কর্তৃপক্ষকে ডেকে শুনানির ব্যবস্থা করি। সুলতান ডাইনের বিরুদ্ধে হারাম মাংস রান্নার যে অভিযোগ উঠেছে তা পরীক্ষা করার সুযোগ আমাদের নেই। কারণ আমাদের কাছে কোনো স্যাম্পল নেই। আমাদের কাছে টেস্ট করানোর সুযোগও নেই। এটি নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ টেস্ট করাবে।’
প্রায়ই খাবারের রেস্টুরেন্টগুলো নিয়ে নানাভাবে অভিযোগ উঠতে দেখা যায় উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘এতে ভোক্তারা বিভ্রান্ত হোন। সেজন্য কাচ্চি ভাই, সুলতান ডাইনসহ এমন বড় বড় দোকানগুলোর মাংস কোথা থেকে সংগ্রহ করে থাকে- তা হালাল কিনা তার রেকর্ড রাখার দিক-নির্দেশনা দেওয়া হবে। সেজন্য আগামী সপ্তাহে কর্তৃপক্ষকে ডাকা হবে। তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। কারণ এসব ঘটনা শুধু ভোক্তাদের বিভ্রান্ত করে না, প্রতিষ্ঠানের সুনামও জড়িত। যেহেতু এমন অভিযোগ এসেছে তাই মাংস সংগ্রহের রেকর্ড থাকলে মানুষের মধ্যে খাবার নিয়ে বিভ্রান্তের সৃষ্টি হবে না।’
রেস্টুরেন্টগুলো নিয়ে কাজ করার আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বসবো, তাদের ডাকবো। তারা কোথা থেকে মাংস সংগ্রহ করে তার রেকর্ড থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন: সুলতান ডাইনে কোনো সমস্যা পায়নি ভোক্তা অধিকার
সারাবাংলা/জেআর/এমও
খাসি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিরিয়ানি সুলতান ডাইন