আ.লীগ সরকারের মেয়াদে এডিবি’র সহায়তা ৩ গুণ বেড়েছে
১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:৫৬
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “গত এক দশকে তথা আওয়ামী লীগ সরকারের টানা মেয়াদে বাংলাদেশ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)’র সহায়তা প্রায় ৩ গুণ বেড়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশকে তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক হিসাবেই স্বীকার করা হচ্ছে। বর্তমানে এডিবির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ৫৪টি প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।’
মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সকালে রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের বলরুমে বাংলাদেশ ও এডিবির অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালসহ অন্যান্য অতিথিরা বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এডিবি আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। বিগত ৫০বছর ধরে এডিবি আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। ১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্বেই প্রথম এডিবির সঙ্গে আমাদের প্রথম সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হয়। কাজেই আমরা গত ৫০ বছরে আমাদের যে আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন; বলতে গেলে প্রতিটি ক্ষেত্রেই এডিবির বিশেষ সহযোগিতা রয়েছে।’ এসময় বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে এডিবির এই উদার সহযোগিতার জন্য গভীর ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনেক উন্নয়ন অংশীদার সুদহার বাড়িয়ে দিচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত এক দশকে বাংলাদেশ এডিবির সহায়তা প্রায় ৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ্যাৎ আওয়ামী লীগ সরকার যখন ২০০৯ সালে গঠন হয়েছে তারপর থেকে তাদের সহযোগিতার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে এডিবির ক্রমবর্ধমান অবদান দাঁড়িয়েছে ২৮.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে। যা এডিবির পোর্টফোলিওতে বাংলাদেশকে তৃতীয় বৃহত্তম গ্রাহক হিসাবেই স্বীকার করা হচ্ছে। আমরা বর্তমানে এডিবির আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তায় ৫৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমি আরও লক্ষ্য করছি যে দক্ষিণ-এশিয়ায় উপ-আঞ্চলিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার (সাসেক) অধীনে এডিবি অর্থায়নকৃত আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং সংযোগ প্রকল্পগুলি অশুক্ল বাধা হ্রাস করে পণ্য ও পরিসেবাগুলিতে আন্তঃসামীন্ত বাণিজ্য প্রসারে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত দেড় দশকে বাংলাদেশ উন্নয়নের এক অভাবনীয় যাত্রার সাক্ষী হয়ে রয়েছে। আমরা এই সময় সব বাধা অতিক্রম করেও ৬.৫ শতাংশের বেশি হারে প্রবৃদ্ধি বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছি। অবশ্য করোনাভাইরাস যখন শুরু হল তার আগে আমরা আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ ভাগ পর্যন্ত উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিলাম। কিন্তু করোনা প্রভাবে এবং রাশিয়া-ইউক্রেনের প্রভাবে আমাদের কিছুটা সমস্যা। তারপরও আমরা ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের উপর আমাদের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছি।’
আমাদের লক্ষ্য আমরা একে একে অর্জন করছি। দারিদ্র্য হ্রাস কর্মসংস্থান সৃষ্টি, মাতৃমৃত্যু, শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, গড় আয়ু বৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অসামান্য অর্জন করেছে। যা ১৪ বছরের মধ্যেই এই অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি, বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী।
সারাবাংলা/এনআর/এমও