Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যমুনা নদী সংকোচন’ প্রকল্প বাতিলের দাবি বিএনপির

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ মার্চ ২০২৩ ২১:৫০

ঢাকা: পরিবেশ ও জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতিকর ‘যমুনা নদী সংকোচন প্রকল্প’অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) গুলশানে দলটির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই দাবি জানান।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের যুমনা নদী সংকুচিত করবার একটি ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রকল্প নিয়ে গতকাল জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। সভা মনে করে এই প্রকল্প বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি, জনগণের জীবিকা, জলবায়ুর মারাত্মক ক্ষতি করবে। এই ধরনের আত্মহননকারী সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যুমনা নদী সংকুচিত প্রকল্প নামে একটি পাইলট প্রকল্প সরকার করছে। ইতোমধ্যে কিছু টাকাও তারা বরাদ্দ করেছে। এটা একটা ভয়াবহ সুইসাইডাল প্রকল্প। সরকারের সমস্যা এই যে, যেগুলো প্রয়োজন সেখানে তাদের দৃষ্টি নেই। বুড়িগঙ্গা নদী দূষণমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেই, কোনো প্রকল্প নেই; শীতলক্ষ্যা নদী দূষণমুক্ত করার কোনো উদ্যোগ নেই, কোনো প্রকল্পন নেই। যমুনা নদী আবহামান কাল ধরে হাজার বছর ধরে প্রবাহমান নদী, সেই নদীকে সংকুচিত করতে চায় কার স্বার্থে?’

‘এক নম্বর হচ্ছে, এই যমুনা নদীকে অকোজো করে ফেলা এবং দুই নম্বর হচ্ছে, হাজার হাজার কোটি টাকা মেরে তাদের সম্পদ বাড়ানো। এই প্রকল্প অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে জনগণকে পরিষ্কার ধারণা দিতে হবে’— বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘এই সরকার বিদ্যুৎ খাতকে প্রধান দুর্নীতি খাত হিসেবে বেছে নিয়েছে এবং এখান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করে ফেলেছে। একেকজন সিঙ্গাপুরে গিয়ে সিআইপি হচ্ছে, নাম্বার টু, নাম্বার থ্রি হয়ে যাচ্ছে তারা।। এত বেশি টাকা তারা বাংলাদেশ থেকে লুট করে নিয়ে গেছে।’

ফখরুল বলেন, ‘আপনারা বিশ্বাস করেন, আমি রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি। আমার ওয়াইফের সঙ্গে ডেইলি কথা হয় যে, বিদ্যুতে এত পয়সা দেব কেন? দিতে হচ্ছে। অবাক হবেন শুনলে কোনো মাসে আমার ২২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিল আসে। আমার এসি খুব কম চলে। বাসায় আমরা দুইজন মানুষ। কি করে মানুষ বাঁচবে?’

তিনি বলেন, ‘তাদের (সরকার) তো এসব বিল দিতে হয় না, সরকার দেয়, জনগণের পয়সা থেকে নেয়। আর জনগণকে নিজের পকেট থেকে দিতে হয়।’

চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে রেন্টাল ও আইপিপি কেন্দ্রগুলোতে ৭০% উৎপাদন বন্ধ থাকার পরও সরকার ক্যাপাসিটি চার্জের পেছনে ২১৬ কোটি ডলার দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। সেইসঙ্গে অবিলম্বে ক্ষতিকর রেন্টাল ও আইপিপি চুক্তি এবং আদানির গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি বাতিলের দাবি জানান।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

বাতিল দাবি যমুন নদী সংকোচন প্রকল্প


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

৯০০তম গোলে ইতিহাস গড়লেন রোনালদো
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৯:০৪

সম্পর্কিত খবর