Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নগর ভবন ঘেরাওয়ে পুলিশের বাধা, মেয়রপন্থীদের পাল্টা বিক্ষোভ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৯

চট্টগ্রাম ব্যুরো: বাড়তি গৃহকর আদায় বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ‘করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’। তবে নগর ভবন অভিমুখে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় তারা নগর ভবনের অন্তত এক কিলোমিটার দূরে সড়কে অবস্থান নেয়। পরে পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল নগর ভবনে গিয়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন। তবে এ সময় মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নিজ কার্যালয়ে থাকলেও আন্দোলনকারীদের দেখা দেননি।

এদিকে বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে এ কর্মসূচি চলাকালে মেয়রপন্থী সরকারি দলের কিছু নেতাকর্মী আন্দোলনকারীদের ওপর দফায় দফায় চড়াও হন। পুলিশের কঠোর ভূমিকার কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ পাহারা দিয়ে পরিষদের নেতাদের নগর ভবনে নিয়ে যান এবং স্মারকলিপি দেওয়ার পর তাদের আবারও সড়কে পৌঁছে দেন।

সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পঞ্চবার্ষিকী কর পুনঃমূল্যায়ন করে বর্ধিত হারে গৃহকর আদায়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ২০১৭ সালে এই প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’ গঠন করে আন্দোলনে নামেন সাবেক মেয়র (বর্তমানে প্রয়াত) এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। আন্দোলনের মুখে ২০১৭ সালের ১০ ডিসেম্বর পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে কর আদায় স্থগিত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী দায়িত্ব নেওয়ার পর পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে গৃহকর আদায়ের ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে দুই দফা চিঠি দেয় চসিক। এর ভিত্তিতে ২০২২ সালের ১৮ জানুয়ারি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় মন্ত্রণালয়। তখন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছিলেন, ‘গণহারে গৃহকর বাড়ানো হবে না, শুধুমাত্র করের আওতা বাড়ানো হবে।’

কিন্তু পুনঃমূল্যায়নের ভিত্তিতে হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় শুরু হলে নগরবাসীর মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ফলে পাঁচ বছর পর গত বছরের মাঝামাঝি থেকে একই দাবিতে আন্দোলনে নামে ‘চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদ’।

সংগঠনটির সভা-সমাবেশ, গণশুনানিসহ বেশকিছু কর্মসূচি পালনের পর গত সোমবার সংবাদ সম্মেলন করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘেরাও কমসূচি ঘোষণা করে। এর বিরোধিতা করে মঙ্গলবার ‘সচেতন নাগরিক সমাজ’র ব্যানারে মেয়রপন্থী আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কিছু নেতাকর্মী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেন।

ঘেরাও কর্মসূচির দিনে বুধবার সকাল থেকে নগরীর বাটালি হিল সংলগ্ন এলাকায় চসিক মেয়রের অস্থায়ী কার্যালয় নগর ভবনের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সকাল ৯টায় তালা লাগিয়ে দেওয়ায় করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে কর্মস্থলে প্রবেশ করতে না পেরে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকেন। সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষও দুর্ভোগে পড়েন।

তবে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের কর্মসূচির কারণে ফটক বন্ধ করা হয়নি জানিয়ে সিটি করপোরেশনের সচিব খালেদ মাহমুদ বলেন, ‘সকাল ৯টায় অফিসে প্রবেশের সময়সীমা মানতে বাধ্য করতেই ফটক বন্ধ করা হয়েছে। এখন থেকে এ নিয়ম কার্যকর থাকবে।’

এদিকে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, করদাতা সুরক্ষা পরিষদের নেতাকর্মীরা নগরীর ৪১ ওয়ার্ড থেকে মিছিল নিয়ে বুধবার সকাল ১১টার দিকে কদমতলীর দস্তগীর মার্কেটের সামনে জড়ো হন। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর তারা মিছিল নিয়ে দেওয়ানহাট হয়ে নগর ভবনের দিকে এগোতে থাকেন। মিছিল টাইগারপাস এলাকায় পৌঁছার পর একদল লোক ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হন। সেখানে আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। একপর্যায়ে পুলিশ উভয়পক্ষের মাঝখানে দাঁড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের আর মিছিল নিয়ে এগোতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালে তারা সেখানেই অবস্থান নেয়। তারা পুলিশ এবং সিটি করপোরেশনের মেয়র ও গৃহকরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। অন্যদিকে মেয়রের পক্ষে আসা লোকজন পরিষদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা আন্দোলনকারীদের বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির দোসর বলে অভিযুক্ত করেন।

সেখানে জমায়েতের উদ্দেশে করদাতা সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি মো. নুরুল আবছার বলেন, ‘আমরা পুলিশকে বলেছি, আমরা ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন করছি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা আমরা করব না। এরপরও পুলিশ আমাদের বাধা দিচ্ছে, এটা অপ্রত্যাশিত। আমরা অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়াতে এবং প্রশাসনের প্রতি সম্মান জানিয়ে এখানেই (সড়ক) অবস্থান করব। এখান থেকে ৪-৫ জন গিয়ে স্মারকলিপি দেব।’

পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক চসিকের সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি বলেন, ‘মাননীয় মেয়র, আপনি ভয় পেয়েছেন। ভীত হয়ে আমাদের আটকে দিয়েছেন। আপনি পুলিশকে অনুমতি দিয়ে আমাদের যেতে দিতে পারতেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু আপনি সেটা করছেন না। আপনি ৭০ লাখ নগরবাসীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন।’

পরিষদের আরেক সংগঠক মুজিবুল হক বলেন, ’৭০ লাখ মানুষকে সেবা দেওয়ার বদলে মেয়র চেয়ারে বসে তাদের গলা কাটছেন। তিনি যে গৃহকর নির্ধারণ করেছেন তাতে ৫ হাজার টাকার ঘরভাড়া ১০ হাজার টাকা হয়ে যাবে। দ্বিগুণ ঘরভাড়া ভাড়াটিয়ারা কিভাবে দেবে, তারা এই শহরে থাকতে পারবে? মেয়র সাহেব আমাদের ঘরভাড়া বন্ধ করে মারার চেষ্টা করছেন। আমরা ঘরে বসে মরবো না, পিচঢালা রাজপথে রক্ত দিয়ে মরবো।’

করদাতা সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র কাজী শহীদুল হক বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স একবার বাড়িয়ে দিচ্ছে। আবার বলছে আপিলে আস, কমিয়ে দিচ্ছি। আপিলে গেলে ঘুষ নিয়ে কিছু কমিয়ে দিচ্ছে। এভাবে ২০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। এসব লুটেরাদের হাত থেকে ৭০ লাখ নগরবাসীকে বাঁচাতে আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’

সেখানে উপস্থিত নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘উনারা (পরিষদ) মিছিল নিয়ে দেওয়ানহাট হয়ে টাইগারপাসের দিকে আসেন। সেখানে আবার আরেকটা গ্রুপ ছিল। আমরা উভয় গ্রুপের মাঝখানে দাঁড়িয়ে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখি। আমরা তাদের অনুরোধ করেছিলাম মিছিল নিয়ে আর সামনে না যায়। তারা অনুরোধ শুনেছেন। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা হয়নি।’

এরপর কাজী শহীদুল হক ও জান্নাতুল ফেরদৌস পপির নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি প্রতিনিধি দল আগে-পেছনে পুলিশ বেস্টনীর মধ্য দিয়ে নগর ভবনে রওনা দেন। সভাপতি নুরুল আবছার যেতে চাইলেও তাকে আটকে দেয় পুলিশ। টাইগার পাস থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত মূল সড়ক থেকে নগর ভবনের দিকে যাবার সড়কে প্রবেশের পথে আবার মেয়রপন্থী প্রায় অর্ধশত লোক তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু করেন। তারা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে তাদের নগর ভবনে ঢুকতে না দেওয়ার হুমকি দেন।

তবে পুলিশ তাদের নিরাপত্তা দিয়ে নগর ভবনে নিয়ে যান। তারা মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাত করে স্মারকলিপি দিতে চাইলেও অনুমতি দেওয়া হয়নি। পরে তারা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তৌহিদুল ইসলামের কক্ষে যান। সেখানে মেয়রের একান্ত সহকারী মো. আবুল হাশেম তাদের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান।

আবুল হাশেম পরিষদের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা মেয়র মহোদয়ের বিরুদ্ধে কথা বলছেন কেন? এই গৃহকর কি উনি নির্ধারণ করেছেন? এটা উনার আমলে করা হয়েছে। সিটি করপোরেশন তো আপনাদের প্রতিষ্ঠান। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন কেন?’

জবাবে কাজী শহীদুল হক বলেন, ‘আমরা মেয়র রেজাউল করিম সাহেবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি না। এ আন্দোলন হঠাৎ করে শুরু হয়নি। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের আমলে আমরা শুরু করেছিলাম। তখন আমরা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সাহেবের নেতৃত্বে আন্দোলন করেছিলাম।’

আবুল হাশেম বলেন, ‘গৃহকর নীতিমালার কোথায় কোথায় ত্রুটি আছে, কী কী কাজ আমরা এর বাইরে করেছি সুনির্দিষ্টভাবে বলেন। আলোচনা না করে, ধারাবাহিক আন্দোলন না করে আপনারা হঠাৎ একেবারে ঘেরাও কর্মসূচি দিয়ে বসলেন।’

জবাবে কাজী শহীদুল হক বলেন, ‘কী কী সমস্যা আছে সেটা বলার জন্য মেয়র আমাদের সঙ্গে বসতে পারতেন। আমরা ৭-৮ মাস ধরে আন্দোলন করে আসছি। মেয়রের মধ্যে দূরদর্শিতার সাংঘাতিক অভাব আছে। আজ (বুধবার) অন্তত তিনি আমাদের সঙ্গে বসতে পারতেন। আমাদের কথাগুলো শুনতে পারতেন।’

আবুল হাশেম বলেন, ‘দুই লাখ ৪ হাজার হোল্ডিং আছে। ৫০ হাজারের মতো আপিল আবেদন এসেছে। অনেকগুলো নিষ্পত্তি হয়েছে। যাদের নিষ্পত্তি হয়েছে আপনারা তাদের জিজ্ঞেস করুন, কেউ অসন্তুষ্ট হয়েছেন কি না!’

নুরুল আবছার বলেন, ‘এভাবে আপিল শুনানি করতে গেলে ৫ বছর সময় লাগবে। আমরা সিস্টেমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছি। সিস্টেমের পরিবর্তন চাই। মেয়র মন্ত্রণালয়ে বলুক যে, এই গৃহকরে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এটা যেন পরিবর্তন করা হয়।’

এরপর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ করে বলেন, ‘আপনাদের আন্দোলন করার অধিকার আছে। সংবিধান আপনাদের সে অধিকার দিয়েছে। যে বিষয়ে আপনাদের অভিযোগ, এটা মন্ত্রণালয় অনুমোদন করেছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন চাইলেই আপনাদের অভিযোগের প্রতিকার করতে পারবে না। আইনেই প্রতিকারের পদ্ধতি বলা আছে। আপনার সংক্ষুব্ধ হতেই পারেন, কিন্তু আইনের মধ্যেই প্রতিকার পেতে হবে। সুতরাং আপনাদের দাবি মেয়র চাইলেও সমাধান দিতে পারবেন না।’

ঘুষ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনাদের ঘুষ বাণিজ্যের যে অভিযোগ সেটা আমি দেখব। এটা আমার এখতিয়ারের মধ্যে আছে। ঘুষ বাণিজ্য কোনোভাবেই কাউকে করতে দেওয়া হবে না। আপনাদের গণশুনানির দাবির কথা আমি মেয়র মহোদয়কে বলব। তবে এত ফরমাল আন্দোলনের দরকার ছিল না। মেয়র মহোদয়ের দরজা সবসময় সবার জন্য খোলা থাকে। মেয়র আপনাদেরই সন্তান। আপনারা চাইলে উনার কাছে এসে দাবিগুলো জানাতে পারতেন।’

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রায় আধাঘন্টা অবস্থানের পর পরিষদের নেতারা বেরিয়ে আসেন। এ সময় তারা নগর ভবনের মূল ফটকের ভেতরে আবারও মেয়রপন্থীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। কয়েকজন পরিষদের নেতাদের দিকে তেড়ে আসেন। উত্তেজনার মধ্যে পুলিশ আবারও বেস্টনি তৈরি করে তাদের টাইগারপাসে জমায়েত পর্যন্ত পৌঁছে দেন।

জানতে চাইলে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা সারাবাংলাকে বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের মধ্যে মনে হয় দুইটা পক্ষ আছে। একপক্ষ স্মারকলিপি দিচ্ছিল, আরেকপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল। আমরা তাদের নিরাপত্তা দিয়ে সিটি করপোরেশন নিয়ে যায় এবং পরে আবার নিরাপদে সেখান থেকে বের করে নিয়ে যাই।’

মেয়রের পক্ষে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নগর ছাত্রলীগের কোতোয়ালী থানারসহ সভাপতি অর্পণ চক্রবর্তী সারাবাংলাকে বলেন, ‘গৃহকর নিয়ে তথাকথিত আন্দোলনের নামে একটি পক্ষ মেয়রের বিরুদ্ধে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত করে উসকানি দিচ্ছেন। চট্টগ্রামের শান্ত পরিস্থিতিকে তারা অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। বিএনপি-জামায়াত ও স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর হয়ে তারা এজেন্ডা বাস্তবায়নে নেমেছে। আমরা বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির এজেন্টদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান তুলে ধরেছি।’

এ অভিযোগের বিষয়ে সাবেক কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদৌস পপি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা কেউ স্বাধীনতার বিরোধীপক্ষ নই। আমাদের সভাপতি কোন পরিবারের সন্তান সবাই জানে। আমরাও প্রগতিশীল সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আছি। মুষ্টিমেয় কিছু লোক আমাদের বিরোধিতার নামে নগরবাসীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’

সারাবাংলা/আরডি/ইআ

করদাতা সুরক্ষা পরিষদ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ধানমন্ডি থেকে গ্রেফতার শাজাহান খান
৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০২:৪৫

সম্পর্কিত খবর