Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘অ্যাডিনোভাইরাস’ শনাক্তে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নেই কোনো কিট

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ মার্চ ২০২৩ ২০:১৮

ঢাকা: দেশে অ্যাডিনোভাইরাস শনাক্তে প্রয়োজনীয় কিট নেই। রাজধানীসহ দেশের একাধিক সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত হাসপাতালের ল্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা থাকলেও কিট না থাকার কারণে ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষা করা যাচ্ছে না। আর তাই উপসর্গ মিলে গেলেও নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্যানুযায়ী, শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতালের ল্যাবই নয়, সার্ভিল্যান্সের জন্য সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) কাছেও এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত কিট নেই। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোনো উত্তর না দিলেও একাধিক সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

সরকারিভাবে আইইডিসি কিট সরবরাহ করে থাকে এমন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই মুহূর্তে যে কিটগুলো আছে সেগুলোর মেয়াদ শেষ। এলসি খুলতে দেরি হওয়ায় নতুন করে কিট সরবরাহ করা এখনই করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে কিট সরবরাহ করা যাবে বলে জানানো হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাডিনোভাইরাস কোনো প্রাণঘাতী সংক্রমণ নয়। তবে যেসব শিশু এই ভাইরাসের সংক্রমিত হতে পারে তাদের যদি অন্যান্য রোগের ইতিহাস থাকে সেক্ষেত্রে বিপদজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। আর তাই কোন ধরনের ভাইরাস এবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেটা জানা জরুরি এবং সার্ভিল্যান্স জরুরি। আর তাই কিট সরবরাহ নিশ্চিত করে সার্ভিল্যান্স শুরুর করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অ্যাডিনোভাইরাস নতুন কোনো প্রাণঘাতী রোগের নাম নয়, আবার নতুন কোনো ভাইরাসও নয়। তবে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার যখন কমে আসতে থাকে ঠিক তখন এই রোগের নাম সামনে আসে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের কলকাতায় বেশ কয়েকটি শিশুর মৃত্যুর পর এটি আলোচনায় আসে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি শিশু বিশেষজ্ঞদের চেম্বারে বাড়ছে অ্যাডিনো ভাইরাসের লক্ষণযুক্ত রোগী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাডিনো ভাইরাসও করোনার মতোই একটি ‘রেসপিরেটরি ভাইরাস’, অর্থাৎ যা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর উপসর্গগুলোও অনেকটা কোভিডের মতোই– এবং এটিও অত্যন্ত ছোঁয়াচে বা সংক্রামক। আর যেহেতু ভারতের কলকাতায় এটি বেড়েছে তাই বাংলাদেশেও বাড়তে পারে। কিন্তু অ্যাডিনোভাইরাসের কারণেই মৃত্যু হয়েছে কি না তা এখনো নিশ্চিত না। তাই দেশে সার্ভিল্যান্স করাটা জরুরি।

কিন্তু সার্ভিল্যান্স করবে কে?- এমন প্রশ্নের জবাবে বিশেষজ্ঞরা জানান, সরকারের স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নিয়মিত সার্ভিল্যান্স করা হয়। বর্তমানেও তাদের আসলে পরিস্থিতি বোঝার জন্য সেটা চালু রাখা প্রয়োজন।

কর্তৃপক্ষ কী বলছে?

স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ডা. রাশিদা সুলতানা সারাবাংলাকে বলেন, ‘যেকোনো সংক্রমণের বিষয়ে আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। তবে অ্যাডিনো ভাইরাসের বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। এক্ষেত্রে যদি কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে এমনটা দাবি করা হয়ে থাকে তবে তা অবশ্যই অধিদফতরের জানানো প্রয়োজন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বেসরকারি কিছু হাসপাতালে নিজেদের ইন্টারেস্ট থেকেও অনেক কিছু করা হয়। অপ্রয়োজনীয় টেস্টও করা হয়ে থাকে। তবে কেউ যদি পেয়ে থাকে সেক্ষেত্রে ডিজি হেলথে কিছু জানানো হয়নি। যদি জানানো হয় তবে সেক্ষেত্রে আমরা সেটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করব।’

তবে তিনি যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে নমুনা শনাক্তের বিষয়ে জোর দিচ্ছেন সেখানে কিট না থাকার কথা জানানো হয়েছে।

কী বলছেন ল্যাবসংশ্লিষ্টরা?

রাজধানীর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ নিয়ে অনেক রোগী এলেও তাদের নমুনা পরীক্ষা এখনো শুরু করা সম্ভব হয়নি কিটের অভাবে।

রাজধানীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজিস্ট সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ল্যাবে অ্যাডিনোভাইরাস শনাক্ত করা সম্ভব। আমাদের কাছে যদি সরকারের পক্ষ থেকে কিট সরবরাহ করা হয় তবে অবশ্যই সেটা আমরা শুরু করতে পারব। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমাদের ল্যাবে কোনো কিট দেওয়া হয়নি। তাই শুরু করতে পারছি না।’

গবেষণার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি ল্যাবে নানা ধরনের পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আফজালুন নেছা সারাবাংলাকে বলেন, ‘অ্যাডিনোভাইরাস শনাক্তের ব্যবস্থা আমাদের আছে। তবে এটা কিন্তু সাধারণ রুটিন টেস্টে হয়নি। ভারতে যখনই শুরু হয়েছে তখনই আমরা এটা নিয়ে কাজ শুরু করি ও সাপ্লায়ারকে আরও সাত দিন আগে কিট সরবরাহ করতে বলি। সাধারণ ওরা কিট সরবরাহ করার জন্য দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত সময় নিয়ে থাকে। আমরা আশা করছি আগামী সাতদিনের মধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় কিট পেয়ে যাব।’

রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের ভাইরোলজি ল্যাবের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে কিট না থাকার বিষয়ে জানা যায়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আলাদাভাবে কিট কেনার প্রস্তুতি নেওয়া হলেও সেটা এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অ্যাডিনোভাইরাস প্যানেল কিটের মাধ্যমেও শনাক্ত করা যায়। কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশে আইইডিসিআর, আইসিডিডিআর’বি, বিএসএমএমইউ’র মতো কিছু প্রতিষ্ঠানে এমন প্যানেল কিট আছে। তবে এই তিন প্রতিষ্ঠানে কিন্তু ব্যাপক আকারে নমুনা পরীক্ষার সুযোগ নেই। শুধুমাত্র গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় নমুনাই তারা পরীক্ষা করতে পারবে।

সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান কী বলছে?

অ্যাডিনোভাইরাস শনাক্তে জরুরি কিট সরবরাহ করে থাকে একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা এক কর্তকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এটি আমরাই সাধারণত সরবরাহ করে থাকি। আমরা অনেক আগে এনেছিলাম। তবে বর্তমানে আমাদের কাছে কোনো কিট নেই। কিছু কিট ছিল সেগুলো গবেষণার জন্য দেওয়া হয়েছিল বিএসএমইউর ভাইরোলজি বিভাগে। আইইডিসিআরের অ্যাডিনো ভাইরাস পরীক্ষার সক্ষমতা তো আগে থেকেই ছিল। তবে সেখানেও আমরা সাম্প্রতিক কোনো কিট সরবরাহ করতে পারিনি।’

কবে নাগাদ আসতে পারে কিট?- এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে অনেক এলসি আটকে যাচ্ছে। এজন্য আমরা কিছুটা পিছিয়ে গেছি। তবে আমাদের কিট সরবরাহ করতে আরও এক মাস সময় লাগবে।

সার্ভিল্যান্স জরুরি

করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ বলেন, ‘অ্যাডিনো ভাইরাসের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সার্ভিল্যান্স চালানো প্রয়োজন। ভারতের কলকাতায় যেহেতু ব্যাপক আকার ধারণ করেছে, তাই আমাদেরও প্রস্তুতি নিতে হবে। পরীক্ষা এখন পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব না হলেও খুব একটা বেশি পিছিয়ে পড়েছি এমনটা বলা যাবে না। এক্ষেত্রে কিট দ্রুত সংগ্রহ করে গবেষণার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করানো যেতে পারে।’

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে মৃত্যুঝুঁকি কম। কিন্তু এর সার্ভিল্যান্সটা খুবই জরুরি। ব্যাপক আকারে সবখানে না হলেও গবেষণার জন্য আইইডিসিআরের পক্ষ থেকে এই সার্ভিল্যান্সের উদ্যোগ নেওয়ার খুবই জরুরি। তারা যদি গবেষণা করে দেখে যে, কোনো ভাইরাসে আক্রান্তের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তখন আমরা সেভাবে আইসোলেট করতে পারি রোগীদের। এক্ষেত্রে আমাদের চিকিৎসা দিতেও সুবিধা হবে।’

আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপস্থিতি নিয়ে সার্ভিল্যান্স প্রয়োজন। যেটা এখন পর্যন্ত নাই। এটা যারা সার্ভিল্যান্স চালু করার সিদ্ধান্ত দিতে পারে তাদের ভাবাটাও প্রয়োজন। একইসঙ্গে সিদ্ধান্তটাও দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘নাই নাই করতে থাকলে দেখা যাবে হঠাৎ করে দেশে অ্যাডিনোভাইরাস ব্যাপক হারে দেখা দিয়েছে। আর তাই অন্যান্য ভাইরাসের মতো অ্যাডিনো ভাইরাসের ব্যাপারে পর্যবেক্ষণের আওতায় আনা উচিত। কারণ এখন অ্যাডিনোর উপসর্গ নিয়ে প্রচুর রোগী সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আসছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘কলকাতায় হঠাৎ করে যে বাচ্চারা মারা যাচ্ছে তারা কেন মারা গেল সেটা জানার চেষ্টা করতে হবে। তারা কি অ্যাডিনোতেই মারা গেছে, নাকি অন্য কোনো কারণে? যদি অ্যাডিনোতেই মারা যায় তবে সেটা কি নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্টের কারণে? যদি নতুন কোনো ভ্যারিয়েন্ট হয়ে থাকে তবে কলকাতায় হতে পারলে তা বাংলাদেশেও হতে পারে।’

সার্ভিল্যান্স করবে কারা?

আইইডিসিআর’র উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সার্ভিল্যান্স করার দায়িত্ব আইইডিসিআর’র। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটার নিজ দায়িত্বে বা সিদ্ধান্তে আলাদাভাবে সার্ভিল্যান্স করতে পারে না। এক্ষেত্রে সরকারিভাবে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বিষয়গুলো নিয়ে সিদ্ধান্ত দিতে হবে। একইভাবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ এশিয়ার দায়িত্বে যারা আছেন তাদের পরামর্শও নেওয়া যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘সার্ভিল্যান্সের ক্ষেত্রে কিটের খরচের পাশাপাশি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার সঙ্গে একটা খরচের বিষয়ও জড়িত। তবে এই সার্ভিল্যান্সের ক্ষেত্রে খরচ বেশি হওয়ার কথা নয়। কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জা সার্ভিল্যান্স ও কোভিডের সার্ভিল্যান্স বিষয়ে একটা নেটওয়ার্ক ইতোমধ্যেই আছে। সেখানে বাচ্চাদের অ্যাডিনোভাইরাস শনাক্তের জন্য একটা টেস্ট বাড়ালেই চলবে। এটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো একটা পুরনো ভাইরাস, যা মোকাবিলার সক্ষমতা আমাদের আছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে আইইডিসিআর’র যারা সায়েন্টিফিক অফিসার আছে তাদের পরামর্শ নিয়ে পলিসিমেকাররা সিদ্ধান্ত দিতে পারে। এটা ইনিশিয়েট করার জন্য সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের বিষয়টিও থাকতে পারে। আবার বিশ্ব সংস্থার সঙ্গেও কথা বলা যেতে পারে। তাদের দক্ষিণ এশিয়ার রিজিওনাল যে শাখা আছে সেটা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি’র মতামত নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের পরামর্শ নিয়ে সার্ভিল্যান্সটা শুরু করা যেতে পারে।’

কী বলছে আইইডিসিআর?

সার্ভিল্যান্স বিষয়ে জানতে চাইলে আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। একইভাবে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো উত্তর জানতে পারেনি এই প্রতিবেদক।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আইইডিসিআর’র এক কর্মকর্তা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত নমুনা সংগ্রহ ও সার্ভিল্যান্স বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। আর তাই কোনো নমুনা পরীক্ষা তো দূরের কথা, সংগ্রহও করা হয়নি। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসসহ আরও বেশ কিছু বিষয়ে আইইডিসিআর নিয়মিত সার্ভিল্যান্স করে থাকে। আর এই সার্ভিল্যান্সগুলো রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়।

ওয়েব সাইটে কী পাওয়া গেছে?

আইইডিসিআরের ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে গেলে দেখা যায়- সেখানে লেখা আছে, Page Not Found. We cannot seem to find the page you are looking for. তবে প্রতিষ্ঠানটির পুরাতন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে দেখা যায় সেখানে সাম্প্রতিক সময়ে কোনো সার্ভিল্যান্স রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়নি।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

অ্যাডিনো ভাইরাস কিট সরকারি প্রতিষ্ঠান


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর