পুলিশের জন্য ভারত থেকে এলো প্রশিক্ষিত ১৫টি ঘোড়া
১৬ মার্চ ২০২৩ ১০:৫৩
বেনাপোল: বাংলাদেশ পুলিশের জন্য বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১৫টি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রজনন ঘোড়া আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১টি রাইডিং ঘোড়া ও ৪টি প্রজনন ঘোড়া রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভারত থেকে আরও ৫টি ঘোড়া বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করবে। গতকাল বুধবার প্রথম চালানে ১৫টি ঘোড়া আমদানি করা হয়েছিল।
ঘোড়াগুলোর আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ইন্সপেক্টর জেনারেল অব বাংলাদেশ পুলিশ। বুধবার (১৫ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে ১৫টি ঘোড়া বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। (যার মেনিফেস্ট নং- ৮৩৪৮)।
ঘোড়াগুলো বেনাপোল বন্দর থেকে খালাসের কাজ করছে ‘মাধ্যম এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট। এর রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান হলো ভারতের কলকাতার বিধাতা সাপ্লাইয়ার।
ঘোড়া আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাধ্যম এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি এবং সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমদানি করা ১৫টি ঘোড়া আমাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে খালাসের কাজ করা হচ্ছে (যার বিল অব এন্ট্রি নং-২০৭৪৭ তারিখ-১৫-০৩-২৩)। ঘোড়াগুলো আমদানি করেছে বাংলাদেশ পুলিশ।’
ঘোড়াগুলো খালাস করার পর বেনাপোল বন্দর থেকে ঢাকার বসিলায় অস্থায়ী কোয়ারেনটাইন ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে ২৮ দিন রাখা হবে। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর রাজারবাগ পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হবে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মনিরুল ইসলাম জানান, ১৫টি ঘোড়া এক লাখ ৭০ হাজার ৯৭০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় এক কোটি ৮৫ লাখ টাকা। পুলিশের জন্য আমদানি করা ঘোড়াগুলো দ্রুত খালাসের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ ঘোড়াগুলো রক্ষণাবেক্ষণের তদারকি করছেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন ভূইয়া বলেন, ‘আমদানি করা ঘোড়া খালাসের জন্য কাস্টমস ও বন্দর সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এমও