Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ফের সোনামসজিদ চেকপোস্ট চালু, দুরত্ব কমলো ৬০০ কিমি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
১৬ মার্চ ২০২৩ ১৯:১৯

চাঁপাইনবাবগঞ্জ: সোনামসজিদ স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর ফের খুলে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট খুলেছে। ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার (রাজশাহী) মনোজ কুমার এ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ডা. শামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহা. জিয়াউর রহমান, মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, ভারতের মহদীপুরের সহকারী কমিশনার (কাস্টমস) দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়, সহকারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) বৈভব চৌধুরী, বিএসএফের কামাডেন্ট সঞ্চয় শর্মা, মহদীপুর স্থলবন্দরের সুপার এলসি ইমচার্জ দেশ দুলাল চ্যাটার্জি প্রমুখ। দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতারা এ সময় একে অপরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টি বিনিময় করেন।

আজ থেকে সোনামসজিদ-মহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় এখান দিয়ে আসা-যাওয়া করতে পারবেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। এতে দূরত্ব কমবে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার। করোনা পরিস্থিতির কারণে বন্ধ হওয়ায় ব্যবসা, চিকিৎসা ও ভ্রমণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহীসহ আশেপাশের জেলার যাত্রীদের যশোরের বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে যাওয়া-আসা করতে হতো। এতে অতিরিক্ত দূরত্ব বেড়েছিল প্রায় ৬০০ কিলোমিটার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, ‘গত ১২ মার্চ চালু হওয়ার কথা ছিল সোনামসজিদ-মহদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন। তবে কাগজপত্রের কিছু জটিলতায় কারণে সম্ভব হয়নি। ফলে আজ ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার এ ইমিগ্রেশন কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন। এতে বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের ভারতগামী যাত্রীদের একদিকে যেমন খরচ কমবে, অন্যদিকে দূরত্বও করবে।’ ভারতীয় ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণে তারা ২৫ জন ওই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারত যাচ্ছেন বলেও জানান।

তরিকুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দীর্ঘ তিন বছর আমরা ব্যাপক দুর্ভোগে ছিলাম। আমদানি-রফতানির কাজে আমাদের ভারত যেতে হয়। কিন্তু গত তিন বছর যশোরের বেনাপোল দিয়ে যেতে হয়েছে। এতে দূরত্ব যেমন বেড়েছে ৬০০ কিলোমিটার, তেমনি খরচও অনেক হয়েছে। আমরা স্বস্তি পেয়েছি এই ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায়।’

মেসবাউল হক, বায়োজিতসহ পাসপোর্টধারী কয়েকজন যাত্রী বলেন, ‘আমরা সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গমসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করি। তাই মাঝে মাঝে ব্যবসায়ীক কাজে আমাদের ভারতে যেতে হয়। কিন্তু সোনামসজিদ-মহাদীপুর স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় বেনোপোল দিয়ে যেতে হতো। এতে প্রচুর ভোগান্তি পোহাতে হতো। টাকাও বেশি লাগতো। আজ থেকে এই ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যেতে পারব। এতে আমাদের ভোগান্তি কমবে।’

 

সোনামসজিদ ইমিগ্রেশনের কুলি সাইদুর রহমান বলেন, ‘গত তিন বছর ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় বেকার ছিলাম। ইমিগ্রেশন চালু হওয়ায় ফের নিজের পেশায় ফিরতে পারলাম। ভালো লাগছে, আবারও কাজে ফিরতে পারছি।’

এর আগে একাধিকবার সোনামসজিদ স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন পরিদর্শন করেন রাজশাহীতে দায়িত্ব পালন করা ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার। এদিকে, সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন খুলে দেওয়ায় ভারতীয় সরকার, পশ্চিমবঙ্গের সরকার, এফবিসিসিআইসহ বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও পাসপোর্টধারী যাত্রীরা।

সারাবাংলা/পিটিএম

সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর