টেকনাফে ফের অপহরণ, ২ শিশুকে ছেড়ে দিলেও জিম্মি ৭
১৬ মার্চ ২০২৩ ২০:৫৫
কক্সবাজার: টেকনাফে পাহাড়ি এলাকা থেকে থেকে ‘মুক্তিপণের দাবিতে’ নয় জনকে অপহরণ করেছিল দুর্বৃত্তরা। পরে পুলিশের অভিযানের মুখে দুই শিশুকে ছেড়ে দিলেও এখন জিম্মি সাত জন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা পাহাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অপহৃতরা হলেন- উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা গ্রামের বাসিন্দা গিয়াস উদ্দিন (১৭), ফজল করিম (৩৮), জাবেরুল ইসলাম (৩৫), আরিফ উল্লাহ (২২), মোহাম্মদ রশিদ (২৮), মোহাম্মদ জাফর (৩৮), মোহাম্মদ জয়নুল (৪৫), মোহাম্মদ আমির (১১) ও রিফাত উল্লাহ (১২)। অপহরণের ঘণ্টা খানেক পরে মোহাম্মদ আমির ও রিফাত উল্লাহকে ছেড়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। তারা বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান।
বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের (ইউপি) সদস্য মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালের দিকে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দারা দলবেঁধে পাহাড়ে কাঠ সংগ্রহ করতে যান। দুপুরের দিকে গহীন পাহাড়ে মুখোশপরা অস্ত্রধারীরা নয় জনকে জিম্মি করে। এদের মধ্যে দু’জনকে ছেড়ে দিয়েছে বলে শুনেছি। অপহরণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলো পুলিশকে অবহিত করেছে।’
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি পুলিশের কয়েকটি দল অভিযানে রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের সঙ্গে পাহাড়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযানে সহযোগিতা করছে।’
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, ‘ঘটনায় কারা জড়িত পুলিশ এখনো নিশ্চিত নয়। অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযানের পাশাপাশি জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।’
এর আগে, গত ছয় মাসে টেকনাফের পাহাড়কেন্দ্রিক ৪১ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ১৭ জন রোহিঙ্গা হলেও ২৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা। যেখানে ২২ জন মুক্তিপণের টাকা দিয়ে ফেরত আসার তথ্য জানিয়েছিল। সর্বশেষ গত ৩ মার্চ দুই শিশু অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত আসে বলে জানা গেছে।
এছাড়া, ২১ জানুয়ারি হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়ক পাহাড়ি ঢালার ভেতর থেকে মোহাম্মদ হোসেন নামে এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম