সুন্দরবনে মধু সংগ্রহের আগাম মৌসুম শুরু, পাস নেয়নি মৌয়াল
১৭ মার্চ ২০২৩ ১৪:৪৭
মোংলা: সুন্দরবনে গত ১৫ মার্চ থেকে মধু সংগ্রহের আগাম মৌসুম শুরু হয়েছে। তবে মৌয়ালরা বন বিভাগ থেকে মধু সংগ্রহের পাস (অনুমতিপত্র) সংগ্রহ করেননি। তারা বলছেন, এখন বনে গেলে কাঙ্ক্ষিত মধু পাওয়া যাবে না। বনবিভাগ ১৫ মার্চ আগাম মধু আহরণ মৌসুম শুরুর তারিখ ঘোষণা করে। সাধারণত পয়লা এপ্রিল থেকে মধু সংগ্রহের কাজ শুরু হয়।
শরণখোলার বগী গ্রামের মৌয়াল মোসারেফ হোসেন জানান, এখন মধু পাওয়া যাবেনা। তাই আমরা পাস সংগ্রহ করিনি।
উত্তর সাউথখালী গ্রামের বাদল জানান, বন বিভাগের এই সিদ্ধান্ত মৌয়ালদের অনুকূলে নয়, এখন বনে কাঙ্ক্ষিত মধু পাওয়া যাবে না। অনেক গাছে এখন মধুর চাকই পুরোপুরি তৈরি হয়নি।
শরণখোলা গ্রামের জালাল মোল্লা জানান, পহেলা এপ্রিল থেকে বনে মধু পাওয়া যাবে। তাই তারা আগের নিয়ম মেনে তারা সুন্দরবনে যাবেন।
খুড়িয়াখালী গ্রামের মধু ব্যবসায়ী রাসেল বয়াতি বলেন, ‘বন বিভাগের পাস নিয়ে প্রতি বছরের ১ এপ্রিল মধু আহরণের জন্য ৭০/৮০টি নৌকায় প্রায় সহস্রাধিক মৌয়াল সুন্দরবনের উদ্দেশে যাত্রা করে। কিন্ত সুন্দরবন ১৫ মার্চ থেকে মধু সংগ্রহের আগাম মৌসুম শুরুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। তাই মৌয়ালরা পাস নিতে দেরি করছে।’
শরণখোলা ফরেস্ট স্টেশন অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, সুন্দরবনে মধু আহরণের জন্য ১৪ মার্চ পর্যন্ত কেউ অনুমতি পত্র (পাস) নেয়নি।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বাগেরহাটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন জানায়, সুন্দরবন থেকে মধু উৎপাদন ও এ থেকে রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর ১৫ মার্চ থেকে ৩০ জুন মাস পর্যন্ত মৌয়ালরা সুন্দরবনে মধু সংগ্রহ করতে পারবে।
ডিএফও মুহাম্মাদ বেলায়েত হোসেন আরও বলেন, ‘এ বছর সুন্দরবন থেকে ৮০০ কুইন্টাল মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ৬০০ কুইন্টাল মধু সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে মৌয়ালরা ২৮৮ কুইন্টাল মধু সংগ্রহ করতে পেরেছিল।’ আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় গত মৌসুমে মধু কম হয়েছিল বলেও জানান তিনি।
সারাবাংলা/এআই/এমও