‘বাংলাদেশের উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে ভারতবাসী খুশি’
১৮ মার্চ ২০২৩ ২২:১৬
ঢাকা: গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের সেই উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে প্রতিটি ভারতবাসী গর্ব অনুভব করছেন বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নয়াদিল্লীতে তার কার্যালয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে বোতাম চেপে পাইপলাইনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন। গণভবন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদসহ অন্যান্য মন্ত্রিপরিষদ সদস্য ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা তার কার্যালয়ে যুক্ত ছিলেন।
প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে প্রথম আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি তেলের পাইপলাইনটির বার্ষিক ১ মিলিয়ন টন হাই-স্পিড ডিজেল (এইচএসডি) পরিবহনের সক্ষমতা রয়েছে। ৩৭৭ কোটি রুপির এই পাইপলাইনের মধ্যে বাংলাদেশের অংশটি ভারতীয় অনুদানের সহায়তায় প্রায় ২৮৫ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে।
পাইপলাইনটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ১২৫ কিলোমিটার ও ভারতের অভ্যন্তরে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। এর আগে বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত থেকে ডিজেল আমদানিতে রেলগাড়ি ব্যবহার করত।
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত বিস্তৃত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
পাইপলাইন প্রকল্পের সূচনা করে হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘গত কয়েক বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি হয়েছে। বাংলাদেশের সেই উন্নয়নযাত্রার শরিক হতে পেরে প্রতিটি ভারতবাসী গর্ব অনুভব করছেন।’
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিবসের প্রসঙ্গও উঠে আসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর কথায়। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নের কথা মাথায় রেখেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের এই উন্নতিতে পাশে থাকতে পেরে আমরা খুশি।’
সারাবাংলা/এনআর/একে