‘জনপ্রিয়তা প্রমাণে নির্বাচনে জনগণের রায় নিতে হবে’
১৮ মার্চ ২০২৩ ২২:৪৯
ঢাকা: বিএনপিকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, পায়ের তলায় যদি মাটি থাক বড় বড় কথা না বলে নির্বাচনে এসে প্রমাণ করেন। কার পায়ের নিচে মাটি আছে, কার নেই। মুখে মুখে ফাঁকা আওয়াজ দিয়ে জনপ্রিয়তা প্রমাণ করা যাবে না। জনপ্রিয়তা প্রমাণ করতে হলে নির্বাচনে জনগণের রায় নিতে হবে।
শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ওয়ারিতে ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল দেখতে ভদ্রলোক, কিন্ত অন্তরে বিষ আর বিষ। এত মিথ্যাচার করতে পারে। সেরা প্যথলজিক্যাল লায়ার, সেরা মিথ্যাবাদী। দুর্নীতিতে বিএনপি পর পর পাঁচ বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কাজেই যারা দুর্নীতিবাজ এরা যখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে তন জনগণের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়। এদের লজ্জা শরম বলতে কিছুই নেই। এরা ভোট চুরি করে বিশ্ব রেকর্ড স্থাপন করেছে। ফখরুলের মুখে এমন সব অশ্রাব্য কথা যেটা শুনতে লজ্জা হয়।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন খাদে পড়ে গেছে। আর মরা গাঙ্গে জোয়ার আসবে না। আন্দোলনের গাঙ মরে গেছে। এটা আর চলবে না। এখন বেপরোয়া ড্রাইভার বেপরোয়া কথাবার্তা বলছে।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি চুরি করত এই দেশে পদ্মা সেতু হতো না, মেট্রোরেল হতো না। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হতো না। কর্ণফুলী টানেল হত না। তাহলে একদিনে একশ সেতু, একশ রাস্তার উদ্বোধন করতে পারতেন না। সংকটের কারণে আপনারা কষ্ট পাচ্ছেন, নেত্রী এটা জানেন। জিনিসপত্রের দাম সারা দুনিয়ায় লাফাতে লাফাতে অনেক ঊর্ধ্বে চলে গেছে। সেখানে শেখ হাসিনা বেশি দামে জিনিস কিনে কম দামে পণ্য দিচ্ছেন। যেন সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয়। রোজায় গরিব মানুষের যেন কষ্ট না হয় সেজন্য খাদ্য নিরাপত্তা বলয় বর্ধিত করেছেন।
বিএনপি ফের ক্ষমতায় গেলে দেশকে দেউলিয়া বানাবে; তাই তাদের হাতে ক্ষমতার মঞ্চ ফিরিয়ে দিতে পারি না বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই অপশক্তি সাম্প্রদায়িকতার পৃষ্ঠপোষক। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক। গলি গলি মে সোর, তারেক রহমান বড় চোর। বিএনপির দুটি গুণ, দুর্নীতি আর মানুষ খুন। এই অপশক্তি জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষক, সাম্প্রদায়িকতার ঠিকানা হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির হাতে ক্ষমতা গেলে দেশ আবার সাম্প্রদায়িকতার অভয়ারণ্যে পরিণত হবে।’
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম