Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

২০ মার্চ ১৯৭১: ‘অপারেশন সার্চলাইট’-এর অনুমোদন দেন ইয়াহিয়া

আসাদ জামান, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ মার্চ ২০২৩ ০৯:১৭

ঢাকা: ২০ মার্চ ১৯৭১। ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান তার সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল হামিদ খান, পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খান, জেনারেল পীরজাদা, জেনারেল ওমর, জেনারেল মিঠঠাসহ সামরিক বাহিনীর উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন। বৈঠকে সামরিক প্রস্তুতি পর্যালোচনা করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে চলমান আলোচনা ব্যর্থ হলে করণীয় বিষয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাঙালি নিধনে ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অনুমোদন করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সকালে রমনার প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের চতুর্থ দফা বৈঠক হয়। বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার ছয় শীর্ষ সহযোগী সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও ড. কামাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ইয়াহিয়ার সঙ্গে সোয়া দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশি-বিদেশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। সময় এলে অবশ্যই আমি সবকিছু বলব।’ রাতে এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘মুক্তি অর্জন না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে। বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে এক অনুপ্রেরণাদায়ী দৃষ্টান্ত।’

একের পর এক শোভাযাত্রা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে আসে। সমবেত জনতার উদ্দেশে একাধিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘মুক্তিপাগল সাড়ে সাত কোটি বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়কে পৃথিবীর কোনো শক্তিই রুখতে পারবে না।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে সাবেক নৌ সেনারা। সমাবেশে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতার জন্য একটি সম্মিলিত মুক্তিবাহিনী কমান্ড গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক বাঙালি সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

বীর বাঙালির এই রণপ্রস্তুতি আঁচ করতে পেরে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানে অস্ত্রশস্ত্র আনতে শুরু করে পাকিস্তানি জান্তা সরকার। প্রতিদিন ছয় থেকে ১৭টি পিআইএ ফ্লাইটে করে সৈন্য ও রসদ ঢাকায় আনে তারা। জাহাজ ভরে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হচ্ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে। অসহযোগ আন্দোলনের শুরুতে বাংলাদেশে পাকিস্তানের স্থলবাহিনীর শক্তি ছিল এক ডিভিশন, ২০ মার্চ তা হয় দুই ডিভিশনের বেশি।

ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সামরিক বাহিনী ও অস্ত্রবোঝাই বিমান চলাচল বন্ধের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়। অসহযোগ আন্দোলনের ১৯তম দিনেও বাঙালির দৃপ্ত পদচারণায় উত্তাল ছিল ঢাকা।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) প্রধান জুলফিকার আলী ভুট্টো করাচিতে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছ থেকে সন্তোষজনক জবাব পেয়ে তার আমন্ত্রণে আমি ঢাকা যাচ্ছি।’

সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম কৌঁশুলি এ কে ব্রোহি সকালে করাচি থেকে ঢাকায় আসেন।

সারাবাংলা/এজেড/এমও

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

ভারত থেকে ফিরলেন ৯ বাংলাদেশি তরুণী
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:২৩

আজ জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন ড. ইউনূস
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১২:০৪

সবজি-মুরগির বাজার চড়া, অধরা ইলিশ
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১০

সম্পর্কিত খবর