আগামী জাতীয় নির্বাচন সাংবিধানিক ধারা মেনেই হবে: রওশন এরশাদ
২০ মার্চ ২০২৩ ১৭:৫৬
ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, সাংবিধানিক ধারা মেনেই আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে তার দল। জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যেতে প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে কোনো জোটভুক্ত করে নির্বাচন করার প্রশ্নই ওঠে না।
সোমবার (২০ মার্চ) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিরোধী দলীয় নেতার বাসভবনে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ৯৪তম জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত কেক কাটা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রওশন এরশাদ বলেন, ‘দলীয়ভাবে নেতার (হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) জন্মদিন স্মরণ করে কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে, বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে আমিও দোয়ার আয়োজন করেছি। এতে কোনোভাবেই দ্বন্দ্ব বা বিভেদ প্রমাণ করে না। যারা জাতীয় পার্টি ছেড়ে চলে গেছেন এবং নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন তাদের দলে ফিরে আসার আহবান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ভবিষ্যৎ উজ্জাল। তাই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে জাতীয় পার্টিকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। দল যত শক্তিশালী হবে ততই জাতীয় পার্টি লক্ষ্যে পৌছাতে সহজ হবে।’
এদিকে এ অনুষ্ঠানে জিএম কাদের গ্রুপের কেউ অংশগ্রহণ করেননি। তবে গ্রুপের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুসহ অন্যান্য প্রভাবশালী নেতারা বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে মোবাইলে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে রওশন পন্থি নেতারা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলটির চার এমপি। তারা হলেন, মসিউর রহমান রাঙ্গা, রওশন আরা এমপি, নাজমা আখতার ও গোলাম কিবরিয়া টিপু।
বেগম রওশন এরশাদ আরও বলেন, ‘আমি সব সময়ই জাতীয় পার্টির ঐক্য চাই। আপনারা সবাই জানেন আমার স্বামী মরহুম প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যদের কত কষ্ট সহ্য করতে হয়েছে। আমি দেখেছি গত ৩২ বছরে জাতীয় পার্টি নেতাকর্মীরা কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। জাতীয় পার্টির জন্য যারা কষ্ট করেছেন, জেল খেটেছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন, তাদের সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’
অনুষ্ঠানে মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, ‘জাতীয় পার্টি যে ভাবে চলছে তাতে দলটি বভিষ্যতে ছোট হয়ে যাবে। দলের নেতৃত্বে যিনি আছেন, তিনি শুধু জাপাকে ধ্বংস করে চলছে। আমি আগেও যেখানে ছিলাম এখনও সেখানে আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমার নেতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। তিনি সংসদে সব সময় গঠনমূলক আলোচনা করতেন। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুকে তিনি জাতীর পিতা ঘোষাণা করতে চেয়েছিলেন কিন্তু ওই সময় সরকারের কিছু লোকের জন্য তিনি সেটি পরেননি।’
রাঙ্গা আরও বলেন, ‘আমরা সংসদে গঠনমূলক আলোচনা সমালোচনা করি। বিরোধীতার জন্য বিরোধীতা করি না।’
এরশাদ পুত্র সাদ এরশাদ প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘দল বড় না পরিবার বড়? আমি জাপর সকল সদস্যকে একই পরিবারের সদস্য মনে করি। ফলে আমার কাছে পরিবার বড়। আমার মা আগের চেয়ে অনেক সুস্থ। আমি আমার মায়ের জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।’
হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ৮৯ বছরের দীর্ঘজীবন পেয়েছিলেন। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/ইআ