Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইভিএম মেরামতে ১২৬০ কোটি টাকা চায় নির্বাচন কমিশন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ মার্চ ২০২৩ ১৯:০১

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামতের জন্য ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে মঙ্গলবার (২১ মার্চ) চিঠি দেবে নির্বাচন কমিশন। অর্থ প্রাপ্তির ওপর নির্ভর করছে জাতীয় নির্বাচনে কত আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ১ লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামত করা গেলে তা দিয়ে ৭০/৮০টি আসনে ইভিএমে ভোট করা যাবে।

আগামী দুই এক সপ্তাহের মধ্যে অর্থ নিশ্চিত না হলে ভোটে ইভিএম ব্যবহার অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২০ মার্চ) নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে কী হবে না হবে জানি না। উই আর ইন ডার্ক (আমরা অন্ধকারে)। গত ১৫ মার্চের কমিশন বৈঠকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়ার জন্য বলেছি। ইভিএম মেরামতের জন্য এক হাজার ২৬০ কোটি টাকার মতো লাগবে। এই টাকা পেলে এক লাখ ১০ হাজার ইভিএম মেরামত করা যাবে। সেটি পাওয়া যাবে কিনা, নিশ্চিত করতে আমরা চিঠি দিতে বলেছি। সেটি রেডি হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) যেতে পারে।’

কেন এই চিঠি দিচ্ছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, ‘টাকার নিশ্চয়তা আমরা এখনও পাইনি। দেখা গেল, ইভিএম মেরামতের কাজ করলাম, শেষ পর্যন্ত টাকা দিতে পারলাম না। সেটি তো ঠিক হবে না। আমরা অর্থবছর ভিত্তিক; এই অর্থ বছরে অর্ধেক, পরের অর্থবছরে অর্ধেক টাকা চেয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাচ্ছি। যদি অর্থ বিভাগ টাকা সংস্থান করে তাহলে আমরা ইভিএমের ব্যাপারে সিদ্ধান্তে উপনীত হবো। টাকা না পেলে বিকল্প সিদ্ধান্তে আসতে হবে, কী করব?’

ইসি সচিব বলেন, ‘ব্যালটে কতটি নির্বাচন হবে বা ইভিএমে কতটি হবে তা নির্ভর করছে অর্থপ্রাপ্তির ওপর।’

বিজ্ঞাপন

কবে নাগাদ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন— এমন প্রশ্নে জবাবে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা তো আর মানে একেবারে অনির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বসে থাকবে পারব না। ইভিএম প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) বলেছে যে, ইভিএম মেরামতের জন্য তাদের ছয় মাস সময় দিতে হবে। কাজেই আমরা তো মনে করি, এখনই হাই টাইম।’

আনিছুর রহমান আরও বলেন, ‘এখনও সরকার তো পুরোপুরি না করেনি। আমরা এটুকু ইঙ্গিত পেয়েছিলাম, যে টাকার একটি ব্যবস্থা হবে। আর যদি না দেয়, সে জন্যেই চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’

সরকার কোনো বরাদ্দ না দিলে কী করবেন— এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘তখন আমরা সিদ্ধান্ত নেব। বিষয়টি আবার কমিশনে আসবে, তখন সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে। সেটি এখনই বলার সুযোগ নেই।’

ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়ে গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা আপনারা পাচ্ছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, ‘দেখা যাক। সংসদে যাওয়ার আগে কেবিনেট অনুমোদন করবে। আমরা যেটি দিয়েছি সেটি অনুমোদ হতেও পারে, নাও হতে পারে। আরও কয়েকটি স্টেপ বাকি আছে। কেননা আরও হাইয়েস্ট বডি আছে। কাজেই এখনই এই কথাগুলো বলার মতো উপযোগী পরিবেশ আসেনি।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইভিএম ইসি দ্বাদশ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর