মধ্যরাতে ঢাবির সলিমুল্লাহ হলে তল্লাশি
২১ মার্চ ২০২৩ ১২:৩৮
ঢাবি: মধ্যরাতে তল্লাশি চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল থেকে ৭ জন বহিরাগত আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের হল থেকে বের হয়ে যেতে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়েছে হল প্রশাসন।
সোমবার (২০ মার্চ) মধ্যরাতে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী ও হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুনের নেতৃত্বে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে প্রায় ১ ঘণ্টা এ অভিযান চালানো হয়। আটকদের বেশিরভাগই ওই হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আত্মীয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী।
আটক ৭ জন বহিরাগত হলেন— মো. ইব্রাহিম, মো. মুজাহিদ, মিজবাহুল হাসান, তানভীর হাসান, আবু সাঈদ, লিংকন, মাহফুজ এবং মাজহারুল ইসলাম।
আটকের পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষ। পরে হল থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয় হল প্রশাসন। এসময় হল প্রশাসন থেকে জানানো হয়, পরবর্তী সময়ে কোনো বহিরাগতকে হলে অবস্থান করতে দেখা গেলে সরাসরি পুলিশে সোপর্দ করা হবে।
তবে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, হলে আরও অগণিত বহিরাগত অবস্থান করেন। তল্লাশির খবর পেয়ে অনেকেই হল থেকে পালিয়ে গেছেন।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে হলে বহিরাগত থাকে বলে একটি চিঠি পাই। পরে প্রক্টরিয়াল টিমকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। যাদের পাওয়া গেছে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। এটি বহিরাগতদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা। এরপর কাউকে পাওয়া গেলে পুলিশে হস্তান্তর করা হবে। যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে তাদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে বের হয়ে যেতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘হল প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে আমরা এখানে এসেছি। বর্তমান শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে সহযোগিতা করলে হলকে বহিরাগত ও অছাত্রমুক্ত করতে সহজ হবে।’
উল্লেখ্য, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ভৌত অবকাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেওয়ায় বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে ছাত্র ভর্তি কার্যক্রম। তিন বছর বন্ধ থাকার পরও হলের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের অনেক শিক্ষার্থী সিট না পেয়ে বারান্দা ও গণরুমে অবস্থান করছেন।
সারাবাংলা/আরআইআর/এমও