Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষ সম্মানের সঙ্গে বসবাস করবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২২ মার্চ ২০২৩ ১৩:০১

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা চাই প্রত্যেকটা মানুষ ঘর পাবে, আশ্রয় পাবে, তার জীবন-জীবিকা হবে। সে কখনও সমাজের বোঝা হয়ে থাকবে না। নিজের পায়ে সম্মানের সঙ্গে দাঁড়াবে, সম্মানের সঙ্গে বসবাস করবে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বুধবার (২২ মার্চ) সকালে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প আওতায় গৃহহীন-ভূমিহীনদের মাঝে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নয়াপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের নওয়াঁগাও আশ্রয়ণ প্রকল্প ও বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বানারীপাড়া পৌরসভায় উত্তরপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের যুক্ত থেকে উপকারভোগীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের সংগঠন। আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে, সেটা আজকে প্রমাণিত সত্য। আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ণ করে যাচ্ছি। আমরা উন্নয়নশীল দেশের মযার্দাও পেয়েছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহীন ভূমিহীন থাকবে না। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে সত্যি আমি খুব আনন্দিত। আজকে আবার আমরা আরও ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারকে স্থায়ীভাবে মাথা গোঁজার ঠাই করে দিয়েছি এবং জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিতে পারছি। আমি মনে করি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তিনি যেখানেই থাকুক নিশ্চয়ই তার আত্মা শান্তি পাবে। ঘর পাওয়ার পর দুঃখী মানুষের মুখে যে হাসি, অন্তত সেই হাসিটিই হচ্ছে সব থেকে বড় পাওয়া।’

বিজ্ঞাপন

মুজিববর্ষের অঙ্গীকারে ভূমিহীনদের মাঝে একক গৃহ উপহার দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।  সমাজের বিভিন্ন স্তরের অনগ্রসর মানুষদেরও তার সরকার পুর্নবাসন করার জন্য নানা ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘আমাদের একটাই লক্ষ্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশে কোনো মানুষ ঠিকানাবিহীন থাকবে না। সেই ব্যবস্থাটাও আমরা নিচ্ছি। আমর খালি ঘরবাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি তা কিন্তু না। এর সঙ্গে সুপেয় পানির ব্যবস্থা, বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি, ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যাতে যে কোনো ধরনের কাজ করে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশের একটি উপজেলাও বাকি থাকবে না বলেও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত জেলা-উপজেলায় যদি আরও কোন ভূমিহীন পরিবার থাকে তাহলে তাদেরকেও ঘর করে দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান।

১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের সময় বিএনপি সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, যেহেতু আমাদের সংগঠন সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে, তাই প্রথমে ফোন আমরা পাই। ঘূর্ণিঝড়ে চট্টগ্রাম, বিশেষ করে দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল পুরোপুরি তছনছ হয়ে যায়। তখন আওয়ামী লীগই মানুষের পাশে প্রথম ছুটে গিয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ‘তখনকার সংসদে আমরা বিষয়টা তুলে ধরলাম। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। তিনি তখন ঘুমিয়ে ছিলেন, জানেন না কিছু। তখনকার তিন বাহিনীর প্রধান গলফ খেলছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ে যে এত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে, সেটাও তারা জানতেন না।’

এই বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাংলাদেশ মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে চেয়েছিলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন। ইনশাআল্লাহ আমরা তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এ সময় ভূমিহীন-গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ কাজে সংশ্লিষ্ট সকলকের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

মুজিববর্ষের অঙ্গীকারে সারাদেশে সাত জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। গৃহহীনমুক্ত জেলাগুলো হচ্ছে নরসিংদী, গাজীপুর, মাদারীপুর, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও জয়পুরহাট। এর আগে, পঞ্চগড় ও মাগুরাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়। সব মিলিয়ে এখন দেশের ৯টি জেলা ও ২১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত।

সারাবাংলা/এনআর/ইআ

টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর