বন্ধ বালিমহাল হঠাৎ ইজারার তোড়জোড়, আতঙ্কে নদীপাড়ের মানুষ
২২ মার্চ ২০২৩ ২০:৫০
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় একটি নদীর বালিমহাল ইজারা দেয়ার প্রক্রিয়ার খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জেলা প্রশাসনের নেওয়া এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করে স্থানীয় লোকজন বলছেন, বালি উত্তোলনের কারণে ইতোমধ্যে নদীর দু’পাড়ে ভাঙনে অনেক বাড়িঘর বিলীন হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সম্প্রতি সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়নে ডলু নদীর চার নম্বর বালিমহাল ইজার দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ প্রক্রিয়া বন্ধে নলুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমদ মিয়া ও একই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান লেয়াকত আলী আবেদনে উল্লেখ করেছেন- বর্তমান সরকার ডলু ভাঙন রোধে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছে। এ অবস্থায় বালি মহাল ইজারা দিলে পুরো এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিস্তার হবে।
তিনি বলেন, ‘ডলুর বালি উত্তোলন ও বিক্রি নিয়ে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি বালু উত্তোলনের কারণে এলাকার হাজারো মানুষ নদীর ভাঙনে তাদের বাপ দাদার ভিটিমাটি হারাবে। বিলীন হবে শত শত একর কৃষি জমি।’
স্থানীয়দের অভিযোগ, ডলু নদীর ৩ ও ৪ নম্বর বালিমহাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে নদীর দুই তীরে ব্যাপক ভাঙনের সৃষ্টি হলে জেলা প্রশাসন গত বছর ইজারা স্থাগিত করে। কিন্তু এক বছরের মাথায় হঠাৎ জেলা প্রশাসন আবারও ডলু নদীর ৪ নম্বর বালিমহলের ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
নদীর গ্রাস থেকে এলাকাবাসীর বাড়িঘর রক্ষায় শিল্পগ্রুপ কেএসআরএম’র কর্ণধার মোহাম্মদ শাহজাহান পূর্ব গাটিয়াডেঙ্গা গ্রামে নিজস্ব অর্থায়নে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেছেন। অব্যাহত নদীভাঙনে এটি এখন ঝুঁকির মুখে। আবার বালু উত্তোলন শুরু হলে ভাঙনে এটি বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ মিয়া বলেন, ‘জনমত উপেক্ষা করে যদি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিলে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে নালিশ করব। বন্ধ বালিমহাল আবার ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়ার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের ছাড় দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মাসুদ করিম বলেন, ‘আমরা অনেক বালিমহালের ইজারা বন্ধ রেখেছি। জেলা প্রশাসন ইজারার জন্য বালিমহাল নির্ধারণ করে না। উপজেলা প্রশাসনের সুপারিশের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসন ইজারা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে। তবু বিষয়টি নিয়ে যেহেতু আপত্তি উঠেছে, সেটা আমাদের বিবেচনায় থাকবে।’
সারাবাংলা/আইসি/ এনইউ