‘বঙ্গবন্ধু আত্মগোপনে না গিয়ে দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছিলেন’
২৫ মার্চ ২০২৩ ১৭:৩৮
চট্টগ্রাম ব্যুরো: বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণার পর আত্মগোপনে না গিয়ে দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বুঝতে পেরেছিলেন- তিনি যদি আত্মগোপন করেন তাহলে শাসকগোষ্ঠী তাকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যায়িত করবে। ফলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আন্তর্জাতিক সহানুভূতি কিছুটা হলেও বিঘ্নিত হতো।
শনিবার (২৫ মার্চ) সকালে নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণহত্যা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই বঙ্গবন্ধু আত্মগোপন করতে পারতেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ২৫ মার্চ রাত ১১টা ২০ মিনিটে গণহত্যা শুরুর পর পরই রাত সাড়ে ১১টায় বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। যার যা কিছু আছে, তা দিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালিকে প্রতিরোধ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। ‘৭১-এর ২৫ মার্চ মধ্যরাতে স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই বঙ্গবন্ধু আত্মগোপন করতে পারতেন। এমনকি প্রতিবেশি দেশে চলেও যেতে পারতেন। তা না করে তিনি দূরদর্শিতার প্রমাণ দিয়েছিলেন।’
২৫ মার্চকে বৈশ্বিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে নগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নজিরবিহীন গণহত্যার মাধ্যমে শুধু ঢাকা শহরে এক লাখ বাঙালিকে হত্যা করে বিশ্বের সবচেয়ে ঘৃণিত অপকর্মটি করেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে একদিনে এত বড় গণহত্যা আর কখনো ঘটেনি। আজ বিশ্ব মানবতার কল্যাণ ও সার্বিক অগ্রগতির স্বার্থে এই দিনটিকে আমরা কিছুতেই ভুলতে পারি না। আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের কাছে এই দিনটিকে বৈশ্বিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া আজ সময়ের দাবি।’
নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদসহ ৪৪টি সাংগঠনিক ওয়ার্ড, ১৫টি থানা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম