সাত মাসে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং হিসাব বেড়েছে ১ কোটি ৫৫ লাখ
২৫ মার্চ ২০২৩ ১৮:৩১
ঢাকা: চলতি বছরের জানুয়ারি শেষে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাব সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭টি। এর আগে ২০২২ সালের জুন শেষে এই সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। অর্থাৎ, জুন থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত সাত মাসের ব্যবধানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৯ কোওবায়টি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাব বেড়েছে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ জন, নারী গ্রাহক ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৩ জন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ১১২ জন।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়। এছাড়াও বিভিন্ন কেনাকাটা, সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা অর্থনীতেত নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সেই সঙ্গে কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। ফলে প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা। মোবাইল ব্যাংকিং অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার করার পাশাপাশি অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। এছাড়া আগস্টে ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি, সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি লেনদেন হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৬৯৩ কোটি টাকা।
মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয়েছে ২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। কেনাকাটায় ৩ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মাধ্যমে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।
সারাবাংলা/জিএস/আইই