রমজান এলেই খেজুর নিয়ে নয়-ছয়
২৫ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৭
চট্টগ্রাম ব্যুরো: শুল্ক ফাঁকি দিয়ে উন্নত জাতের খেজুরকে নিম্ন জাতের খেজুর দেখিয়ে আমদানি করে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন।
শনিবার (২৫ মার্চ) বিকেলে নগরীর ফলমুন্ডি বাজারে অভিযান পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্য্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং প্রতীক দত্ত।
জেলা প্রশাসনের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত জানুয়ারি থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে ৪০ হাজার ২৪ মেট্রিক টন খেজুর আমদানি হয়েছে। যার গড়মূল্য কেজি ৮৯ টাকা ৩৬ পয়সা। তবে পাইকারি বাজারে বিভিন্ন জাতের এসব খেজুর চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে।
আমদানি মূল্যের চাইতে তিন-চারগুণ বেশি দামে বিক্রি করায় আল্লাহর রহমত স্টোরকে ৫০ হাজার, আলী জেনারেল ট্রেডিংকে ১০ হাজার ও ফ্রেশ ফ্রুট গ্যালারিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্জিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমদানি তথ্যমতে ফলমন্ডি বাজারে খেজুরের আমদানিকারক আছে ১২ জন। আমরা ফলমন্ডি বাজারে অভিযানে গিয়ে তিন আমদানিকারকের সন্ধান পাই। তারা উন্নত জাতের খেজুর আমদানি করেও সেগুলো কম দাম দেখিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করাচ্ছে ।’
‘এরপর এই খেজুর চড়া দামে বিক্রি করছে। চড়া দামে খেজুর বিক্রি করার অভিযোগে তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’
পাইকারি ফল ব্যবসায়ীদের তথ্যর ভিত্তিতে তিনি জানান, বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন রমজান এলেই দেশি-বিদেশি ফল চড়া দামে বিক্রি করতে আমদানিকারক ও কমিশন এজেন্টদের মাধ্যমে একটা চক্র গড়ে তোলেন। অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম অ্যারাবিয়ান ফ্রুটস ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও সাথী ফ্রুটসের স্বত্বাধিকারী। খেজুর চড়া দামে বিক্রি করতে পাইকারি খেজুর ব্যবসায়ী ও কমিশন এজেন্টদের বাধ্য করতেন তিনি।
সারাবাংলা/আইসি/একে