‘প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় বাংলাদেশ’
২৭ মার্চ ২০২৩ ২০:৩৩
ঢাকা: জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেষ্টায় উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা পবিত্র রমজানের সিয়াম-সাধনাকে তোয়াক্কা না করে সব নিত্য পণ্যেরই দাম বাড়িয়েছে চলেছে। দ্রব্যমূল্যের ভয়াবহ ঊর্ধ্বগতি নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলছে। সর্বক্ষেত্রে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি ক্যানসারের রূপ নিয়েছে।
সোমবার (২৭ মার্চ) গুলশানের একটি হোটেলে ইফতার পার্টিতে বিরোধীদলীয় নেতা এসব কথা বলেন। ইফতার পার্টি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এস এম এম আলম। বক্তব্য দেন- বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সাবেক এমপি নুরুল ইসলাম মিলন, সাবেক এমপি মামুনুর রশিদ, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু, চিত্রনায়ক মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা প্রমুখ।
তবে বেগম রওশন এরশাদের ইফতার পার্টিতে দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ অন্যান্যরা অংশ নেয়নি। এর বাইরে জামায়াতে ইসলামী ছাড়া আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের দাওয়াত দেওয়া হলেও তারাও ইফতার পার্টিতে যাননি। কেবলমাত্র ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা অংশ নেন। রওশন এরশাদ যানজটের কারণে ইফতারের সময় শেষ হওয়ার পরে পৌঁছান। নিমন্ত্রিত নেতারাও যানজটের কারণে ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে পারেননি বলে জানান রওশনপন্থী নেতারা।
ইফতার পার্টিতে রওশন এরশাদ বলেন, ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এইসব ব্যবসায়ীদের জন্যই দেশের গণতন্ত্র, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের উজ্জ্বলতা প্রশ্নের সম্মুখীন। এতে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মাহুতি দানকারী শহিদদের আত্মা কষ্ট পাচ্ছে। সুবিধাবাদী দুর্নীতিবাজদের জন্য দেশপ্রেমিক জনতা এক সাগর রক্তের বিনিময় এ দেশ স্বাধীন করেনি।
বেগম রওশন এরশাদ সিয়াম-সাধনার পবিত্র এই মাসে দলের প্রতিটি নেতাকর্মীকে অসহায় দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘আমি আশাবাদী, আগামী দিনে আমরা স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পারব।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে রওশন বলেন, ‘জাতীয় পার্টিতে কোনো বিভেদ নেই। এরশাদের রেখে যাওয়া নির্দেশনা মতেই জাতীয় পার্টি চলবে। যারা তার নির্দেশনা মানবেন না, তারা পার্টি ও নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন। নতুন-পুরাতন, নবীন-প্রবীণ সব ত্যাগী নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়েই দলের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই জাতীয় পার্টি শক্তিশালী হবে।’
বিরোধী দলের নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে নয় মাসের মুক্তি সংগ্রামে লাখ লাখ শহিদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয় লালসবুজের সার্বভৌম বাংলাদেশ। ‘৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ‘৬৯-এর গণ অর্ভ্যুত্থন, ‘৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির অহংকার। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন্ম নেওয়া বাংলাদেশ নানা বিবর্ণ সময় অতিক্রম করে এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত। দেশের স্বর্ণজ্জোল উন্নয়নের ইতিহাসে নয় বছরের সফল রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের নাম লেখা রয়েছে।’
রওশন এরশাদ বলেন, ‘অসহায় হতদ্ররিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটাতেই রাজনীতি ও সরকার পরিচালনা করে গেছেন এরশাদ। জাতীয় পার্টির শাসনামলে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে এরশাদ ছিলেন কঠোর। আর রমজান মাসে নিত্যপণ্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিতে তার ছিল কঠোর নজরদারি।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম