সৌদি আরবে নিহত শহীদুল ও হেলালের বাড়িতে শোকের মাতম
২৯ মার্চ ২০২৩ ১২:১১
নোয়াখালী: সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর হেলাল ও শহীদুলের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তারা দুইজনই ছিলেন পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস। তাদের মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তাদের পরিবারের ভবিষ্যৎ।
নিহত মো. হেলাল উদ্দিন (৩৪) জেলার চাটখিল উপজেলার নাহারখিল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম রামনারায়ণপুর গ্রামের ভূঁইয়াজি বাড়ির মৃত মো. হুমায়ুন কবিরের ছেলে এবং মো. শহীদুল ইসলাম শাহেদ (২৭) সেনবাগ উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের মালেক মোল্লার বাড়ির শরিয়ত উল্লাহর ছেলে।
জানা যায়, এক বছর আগে জীবিকার সন্ধানে পরিবারের বড় ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন সৌদি আরবে পাড়ি জমান। এরপর তিনি একটি রেস্তেরাঁয় চাকরি নেন। তার হাজাবি নামে তিন বছর বয়সী একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
নিহত হেলালের ছোট ভাই মো. রিপন জানান, তার ভাইসহ আরও চারজন ওমরাহ করতে একসঙ্গে মক্কা নগরীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। যাত্রা পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনই মারা যান।
তিনি জানান, ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানার পর থেকে তাদের পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ শোকে পরিবারের সদস্যরা পাথর হয়ে পড়েছেন।
অপরদিকে গত বছরের এপ্রিল মাসে পরিবারের বড় ছেলে শহীদুল ইসলাম শাহেদ জীবিকার তাগিদে সৌদি আরব যান। সেখানে তিনি একটি দোকানে কর্মরত ছিলেন। ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে কর্মস্থল থেকে রওনা হলে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আলম রিগান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শোকে পাথর হয়ে গেছে গোটা পরিবার। পরিবারের একমাত্র চালিকাশক্তিকে হারিয়ে সবাই এখন দিশেহারা। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
এর আগে, সোমবার (২৭ মার্চ) সৌদি আরবে স্থানীয় সময় বিকেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওমরাহ যাত্রীদের বহনকারী একটি বাস ইয়েমেন সীমান্তবর্তী আসির প্রদেশের আকাবা শার এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। দুর্ঘটনার কবলে পড়া বাসে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৫ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় ২২ জনের প্রাণহানি ঘটে। নিহত ৮ বাংলাদেশির মধ্যে হেলাল ও শহীদুলের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে নিহত ৮ বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেছে
সারাবাংলা/ইআ