‘র্যাব হেফাজতে মৃত্যু ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না’
২৯ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৭ | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৩ ২২:২০
ঢাকা: র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র্যাব ও বাহিনীর সাত জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চলমান নিষেধাজ্ঞার মধ্যে নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়। এ ক্ষেত্রে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কি না?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নিশ্চয়ই না। এ ধরনের দুর্ঘটনা আমেরিকায় প্রতিদিনই হচ্ছে। এ সপ্তাহে স্কুলে বাচ্চা মেরে ফেলেছে। এ নিয়ে কারও সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হচ্ছে? এ ধরনের ঘটনা হঠাৎ করে হতে পারে।’
গণমাধ্যমে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর খবর জেনেছেন বলে উল্লেখ করেন মোমেন। তিনি বলেন, ‘পত্রিকার মাধ্যমে ঘটনাটা জানলাম। সত্য-মিথ্যা জানি না। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও র্যাব বলতে পারবে।’
এর আগে, বুধবার নওগাঁ শহরের মুক্তির মোড় থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর শুক্রবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। র্যাবের দাবি, প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। আটকের পর অসুস্থ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে স্বজনদের অভিযোগ, হেফাজতে নির্যাতনের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে।
উল্লেখ্য, সুলতানা জেসমিন নওগাঁ সদর উপজেলার চণ্ডীপুর ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে চাকরি করতেন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম