সিনহার অ্যাকাউন্টে ৪ কোটি টাকা : দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ
৬ মে ২০১৮ ১৯:২১
।। স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে চার কোটি টাকা জমা দেওয়ার অভিযোগে দুই ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক। ব্যবসায়ী দুইজন হলেন নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা ও মো. শাজাহান।
রোববার (৬ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ব্যবসায়ী নিরঞ্জন সাহা ফারমার্স ব্যাংক থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেন। পরে ওই ঋণের টাকা সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পে অর্ডারের মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়। এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৫ এপ্রিল দুই ব্যবসায়ীকে তলব করে চিঠি পাঠানো হয়।
দুদকের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৬ মে) সকাল সাড়ে ৯টায় উল্লেখিত দুই ব্যবসায়ী দুদক কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হন। পর সকাল ১০ থেকে দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম তাদের বিকেল ৪টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
এদিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় দুই ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
তবে তাদের আইনজীবী আফাজ মাহমুদ রুবেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তরার ১০ নম্বর সেক্টরের ১২ নম্বর রোডের ৫১ নম্বর বাড়ির মালিক ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পাঁচ কাঠা জমির ওপর ওই বাড়িটি তিনি ছয় কোটি টাকা মূল্যে টাঙ্গাইলের বাসিন্দা রণজিৎ চন্দ্র সাহার স্ত্রী শান্ত্রী রায়ের কাছে বিক্রি করেন। ২০১৬ সালের মে মাসে বায়না দলিলের মাধ্যমে বাড়িটির মালিক হন শান্ত্রী রায়। তখন শান্ত্রি রায় বাড়ির মূল্য বাবদ দুই কোটি টাকা সাবেক প্রধান বিচারপতিকে পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট চার কোটি টাকা একই বছরের ৮ নভেম্বর দুইটি পে অর্ডারের মাধ্যমে সোনালি ব্যাংকের সুপ্রিম কোর্ট শাখায় বিচারপতি সিনহার অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হয়। পরে ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর সাবেক প্রধান বিচারটপকি এস কে সিনহা হস্তান্তর দলিলের মাধ্যমে বাড়িটি শান্ত্রী রায়কে লিখে দেন।’
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের আরেক আইনজীবী নাজমুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যবসায়ী নিরঞ্জন ও শাহজাহান ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে চার কোটি টাকা ঋণ নেন। এতে থার্ড পার্টি হিসেবে শান্ত্রী রায়ের বিভিন্ন জমি মর্টগেজ হিসেবে ব্যাংকে জমা দেওয়া হয়। এই ঋণের টাকা থেকেই বাড়িটির মূল্য বাবদ চার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়।’
সারাবাংলা/জিএস/একে