‘ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে এখন সাংবাদিক নির্যাতন করছে’
৩১ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৯
চট্টগ্রাম ব্যুরো : ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে আওয়ামী লীগ এখন সাংবাদিকদের গ্রেফতার-নির্যাতন শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকেলে নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তিসহ বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবির সমর্থনে এক সভায় তিনি একথা বলেন। জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটি এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করার জন্য সরকারের দমননীতি এখন আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের পাশাপাশি এখন সংবাদপত্রের সম্পাদক এবং সাংবাদিকদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও নির্যাতন করছে। প্রশাসনের মেধাবী ও নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের বাছাই করে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গেছে। দেশের মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে এক দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ছাড়া সাধারণ মানুষের কোনো আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। সরকারের দূর্নীতি ও লুটপাটের খেসারত দিতে হচ্ছে জনগণকে। এই দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে সবাইকে আন্দোলনে শরিক হতে হবে। এই আন্দোলনে জনগণ জয়লাভ করবে আর আওয়ামী লীগ পরাজিত হবে।’
সরকার পতনের একদফা আন্দোলনের বিকল্প নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এই সরকারের হাত থেকে লুণ্ঠিত গণতন্ত্র, ভোটাধিকার ও বাকস্বাধীনতা পূনরুদ্ধার করতে হলে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ কিংবা নির্বাচন কমিশনের কোনো অর্থহীন সংলাপে বিএনপি অংশ নেবে না। বিএনপির চলমান গণআন্দোলন খুব শিঘ্রই সরকার পতনের এক দফার আন্দোলনে পরিণত হবে। এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আর ঘরে ফিরে যাব না।’
বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ.এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলার আহবায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার, নগর কমিটির আহ্বায়ক শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, নগরের সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য মীর হেলাল, দক্ষিণের আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, নগরের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুস সাত্তার, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, এম এ সবুর, এস কে খোদা তোতন, কাজী বেলাল, নাজিমুর রহমান, আব্দুল মান্নান, আহমেদুল আলম রাসেল।
সারাবাংলা/আরডি/একে