বেনাপোলে ভ্রমণ কর ‘জালিয়াতি’, রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার
১ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:১৮
বেনাপোল: বেনাপোলের আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে লাখ লাখ টাকার ভ্রমণ কর ফাঁকি দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, একটি সিন্ডিকেট বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকায় ভারতগামী যাত্রীদের জিম্মি করে প্রশাসনের নাকের ডগায় কোটি কোটি টাকার ভ্রমণ কর ফাঁকি দিচ্ছে। এর ফলে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে।
জানা যায়, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন ভারতে যান প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার হাজার যাত্রী। এসময় ল্যান্ডপোর্ট ট্যাক্সসহ প্রতি যাত্রীকে ৫৫২ টাকা ভ্রমণ কর পরিশোধ করতে হয়। যা সাধারণত যাত্রীরা দিয়ে থাকেন তাদের বহনকারী বাসের স্টাফদের মাধ্যমে। কেউ কেউ পরিশোধ করেন অনলাইনে।
অভিযোগ উঠেছে, যাত্রীদের সেই অর্থ জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু ট্রাভেল এজেন্সি ও পরিবহন শ্রমিকদের একটি সিন্ডিকেট। যাত্রীদের দেয়া হচ্ছে ভুয়া রশিদ, ফলে রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। চেকপোস্টে ভিড় থাকায় বেশিরভাগক্ষেত্রেই সেই রশিদ পরীক্ষা করার সুযোগ হয় না।
গত ২৪ মার্চ এ পথে ভারত যাওয়ার সময় ভ্রমণ ট্যাক্সের জাল রশিদসহ ৫ ভারতীয় নাগরিককে আটক করা হয়। যদিও পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর আগে, গত বছরের জুলাইয়ে ট্যাক্স জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল ২ পরিবহন শ্রমিক।
বেনাপোল চেকপোস্টে গড়ে ওঠা ট্রাভেল এজেন্সি, কম্পিউটার দোকান থেকে তৈরি করা হয় জাল ভ্রমণ ট্যাক্স রশিদ। বিশেষ করে অনলাইনে যাত্রীদের ভ্রমণ ট্যাক্স পরিষদ করার নিয়ম চালু হওয়ার পর থেকেই জাল ভ্রমণ কর ফাঁকির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার তানভীর আহমেদ বলেন, ‘কিছু সংঘবদ্ধ চক্র আছে যারা যাত্রীদের জিম্মি করে ভ্রমণ করের টাকা আদায় করে কিন্তু সরকারের কোষাগারে জমা দেয় না। এ চক্রের মুলোৎপাটনের জন্য বন্দর থানা, কাস্টমস এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ কাজ করছে।’
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘তিন দিন আগে ভ্রমণ কর ফাঁকির অভিযোগে বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন।’
উল্লেখ্য, বেনপোল বন্দর থেকে প্রতিবছর ভ্রমণ কর বাবদ প্রায় শতকোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে সরকার।
সারাবাংলা/এমও