Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিন, মুহূর্তেই দ্রব্যমূল্য কমে যাবে: আব্বাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ এপ্রিল ২০২৩ ২২:৩৬

ঢাকা: তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালের ঘোষণা দেওয়া মাত্রই দ্রব্যমূল্য কমে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাস।

শনিবার (১ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন চত্বরে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, চাল, ডাল, তেল এবং কৃষি ও শিক্ষা উপকরণসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে এবং বর্তমান সংসদ বিলুপ্ত করে নিদর্লীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়কের দাবি আমাদের না। তত্ত্বাবধায়কের দাবি ছিল জামায়াত এবং আওয়ামী লীগের। জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) বলেছিল, ‘‘এই মুহূর্তে দরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’’ খালেদা জিয়ার বুকের পাটায় বল ছিল। তিনি দাবি মেনে নিয়ে তত্বাবধায়ক দিয়েছিলেন।’

‘আমরা চাই সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার, কিংবা নিরপেক্ষ সরকার। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে; সেই নির্বাচনের পর বলা যাবে পরবর্তীতে কী হবে। আমি একটা কথা বলতে চাই, যেদিন নিরপেক্ষ সরকারের ঘোষণা হবে, সেই দিন, সেই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্যের অবস্থা পরিবর্তন হয়ে যাবে। দ্রব্যমূল্য কমে যাবে। শুধু ঘোষনা হবে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, আর কিছু লাগবে না। আর কিছু করতে হবে না’— বলেন মির্জা আব্বাস।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘এখন বাজারে গিয়ে কেউ পুরো এক কেজি মাছ, মাংস কিতে পারে না। পাঁচ শ’ গ্রাম, আড়াই শ’ গ্রাম করে কেনে। একটা মুরগি কিনে দুই পরিবার মিলে ভাগ করে নেয়। এই হলো বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের অবস্থা সব সময় ভালো ছিল, আমরা তা বলব না। তবে কোনো এক সময় ভালো ছিল। জিয়াউর রহমানের সময়, খালেদা জিয়ার সময় এবং বিএনপির সময়।’

মির্জা আব্বাস বলেন, ‘এখন আমরা সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে পারছি না। তারা প্রতিদিন মার খায়। তবে সাংবাদিকরা এক সময় নিরাপদ ছিল। যখন জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় ছিলেন, তখন সাংবাদিকরা নিরাপদ ছিল। আজকে এই যে এতগুলো ক্যামেরা, এটি জিয়াউর রহমানের অবদান।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের হাত থেকে দেশের ক্ষমতার পরিবর্তন আনতে হবে। ইনশাল্লাহ প্রস্তুতি সম্পন্ন আমরা নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায় করে নির্বাচন করব। আজকে এই অবস্থান কর্মসূচি ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, দেশের মানুষের দাবি আদায়ের জন্য, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।’

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দিন অসীম, মহিলা দলের আফরোজা আাব্বাস, যুব দলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মহানগর বিএনপির ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, জাসাসের জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম, ছাত্র দলের কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একে

টপ নিউজ ফখরুল বিএনপি মির্জা আব্বাস

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর