Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অবিশ্বাস্য গতিতে হত্যা মামলার তদন্ত, এসআইকে বরখাস্তের আদেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৩ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: মাত্র ৪২ ঘণ্টার মধ্যে একটি হত্যা মামলা তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করায় তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করার আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপারকে (এসপি) এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) এক রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মো. বদরুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

এ মামলার পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্তের আদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালত।

আদালতে রিভিশন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

আদেশের পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ‘মানিকগঞ্জে একটি হত্যা মামলার ঘটনায় আদালতের সামনে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় এবং ত্রুটি যুক্ত তদন্তের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদুর রহমানকে বরখাস্তের জন্য মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বজায় থাকবে। আর এ মামলার সব নথিপত্র আদালতের হেফাজতে থাকবে।’

একইসঙ্গে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (সিবিআই) এ হত্যা মামলা পুনঃতদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের এসপি পদমর্যাদার নিচে নয়— এমন কর্মকর্তা দিয়ে ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৫ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, এ সংক্রান্ত এক রিভিশন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৪ মার্চ আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মাসুদুর রহমানকে আজ শশরীরে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য তলব করেন।

‘লাশ উদ্ধার থেকে অভিযোগপত্র, ৪২ ঘণ্টার অবিশ্বাস্য তদন্ত’ শিরোনামে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিভিশন করে দায়ের করেন মামলার বাদী।

আদালতের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে মানিকগঞ্জ সদরের কৈতরা গ্রামের একটি হ্যাচারিতে খুন হন মো. রুবেল (২২)। পরদিন নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে সোহেল নামের একজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এখন কারাগারে।

এতে আরও বলা হয়, মরদেহ রাত দেড়টায় উদ্ধারের পর সুরতহাল করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে। এরপর মামলা, আসামি গ্রেফতার, ঘটনাস্থল পরিদর্শন, মানচিত্র তৈরি, সাক্ষ্য গ্রহণসহ একে একে অন্তত ৯টি ধাপ পেরিয়ে হত্যা মামলার তদন্ত শেষ মাত্র ২২ ঘণ্টায়। পরবর্তী ২০ ঘণ্টার মধ্যে আসামিকে আদালতে হাজির, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায়সহ তদন্তের সব প্রক্রিয়া শেষ করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অর্থাৎ, মরদেহ উদ্ধার থেকে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিতে পুলিশের সময় লেগেছে মাত্র ৪২ ঘণ্টা।

মামলাটির তদন্ত শেষ হয়েছে রকেটের চেয়েও দ্রুতগতিতে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে

টপ নিউজ রকেট গতিতে তদন্ত হত্যা মামলা

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর