ঢাকা: প্রথম আলোর কর্মী সামসুজ্জামানকে ‘সাংবাদিক’ হিসেবে নয়, বরং ‘শিশু নির্যাতনকারী’ হিসেবে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শিশু নির্যাতন করা হলে শাস্তি দেওয়া হয়। শিশু নির্যাতনের জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মোমেন।
সোমবার (৩ এপ্রিল) জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সামসুজ্জামানকে গ্রেফতারের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘তিনি গ্রেফতার হয়েছেন শিশুকে ব্যবহার করার কারণে। দ্বিতীয় ইস্যু হলো তিনি আমাদের স্বাধীনতা নিয়ে তামাশা করেছেন। আমাদের চেতনার সবচেয়ে বড় ধন স্বাধীনতা। স্বাধীনতা নিয়ে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ গ্রহণ করবে না।’
তিনি বলেন, ‘অপরাধ করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পার পাওয়া যাবে না। সাংবাদিকের নাম দিয়ে অপরাধ করবেন, এটা গ্রহণযোগ্য হবে না। অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে পাবে। সাংবাদিক হলেও অপরাধ করলে তাকে শাস্তি পেতে হবে। আমরা সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চাই, কিন্তু কেউ অপরাধ করে পার পাবেন না।’
এর আগে, শনিবার (১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বিবৃতিতে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার হওয়ার বিষয়ে বলা হয়, জীবনযাত্রার মান নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য নয়, প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়েছে ‘শিশুকে ব্যবহার’ করে প্রতারণামূলক সংবাদ করার দায়ে।
মামলার এজাহারে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবৃতিতে কোন সোর্স থেকে শিশু নির্যাতনের বিষয়টি যুক্ত করা হলো?- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা ছবি দেখেছি। আপনি ছবি দেখেছেন। শিশু নির্যাতনের জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কেন এমনটা মনে হয়েছে?— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা ছবি দেখেছি। আপনারা দেখেন নি? বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী শিশু নির্যাতন করা হলে শাস্তি দেওয়া হয়।’