অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার: স্পিকার
৩ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:০২
ঢাকা: জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমীন চৌধুরী বলেছেন, দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার জন্য রাজনৈতিক সরকারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা দরকার। কারণ বিশ্বব্যাপী প্রাণ-সংহারি করোনা মহামারি শুরুর আগে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশের উপরে। ভয়াবহ করোনার পরও প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের নিচে নামেনি। এটা সম্ভব হয়েছে টানা ৩ মেয়াদে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণে।
সোমবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় সংসদ ভবনের স্পিকারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ৬ এপ্রিল বসছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। শুক্রবারকে কার্যদিবস গণ্য করে টানা ৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলতে পারে এ অধিবেশন। এই অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্মারক বক্তৃতা করবেন। আর প্রধানমন্ত্রী উত্থাপিত প্রস্তাবের উপরে প্রবীণ সংসদ সদস্যের পাশাপাশি নবীণ সদস্যরাও আলোচনায় অংশ নেবেন।’
তিনি বলেন, ‘৭ এপ্রিল আমাদের জাতীয় জীবনে একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন। বাংলাদেশের ইতিহাসেও এটি একটি ঐতিহাসিক দিন। কারণ, ১৯৭৩ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরু করেছিল। সংসদের প্রথম অধিবেশনটি এদিনই অনুষ্ঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ৭ এপ্রিল বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে উদযাপন করতে যাচ্ছে।’
স্পিকার বলেন, ‘১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন দেশে ফিরে আসেন। এটা মহান নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। তিনি ১১ জানুয়ারি গণপরিষদ গঠন করে তাদের উপরে রাষ্ট্রের সংবিধান প্রণয়নের দায়িত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৭২ সালে ৪টা নভেম্বর রচিয়ত সংবিধান গণপরিষদে পাস করা হয়। ওই বছরের ১৬ ডিসেম্বর থেকে এটি কার্যকর হয়। এ সংবিধানই আমাদের সর্বোচ্চ আইন। এর আলোকে রাষ্ট্রে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ নির্বাহী বিভাগ, আইনসভা ও বিচার বিভাগের সব কার্যক্রম সংবিধানেই বর্ণিত আছে। এর আলোকে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ গঠিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের সংসদ ইউনিক। কারণ, এটি এককক্ষ বিশিষ্ট। বৃটেন ও ভারত দুকক্ষ বিশিষ্ট। যথাক্রমে হাউস অব কমন্স ও হাউস অব লর্ডস এবং লোকসভা ও রাজ্যসভা। বাংলাদেশে ৩০০ সংসদীয় আসন থেকে জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হয়। পাশাপাশি ৫০টি সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।’
স্পিকার বলেন, ‘৯ম, ১০ ও ১১ জাতীয় সংসদের ধারাবাহিকতায় আমাদের যে অর্জন তা ধরে রাখতে হবে। কারণ, সংসদ কার্যকর থাকলে অথনৈতিক প্রবৃদ্ধিসহ উন্নয়ন তরান্বিত হয়। যেমন আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করেছি। বর্তমান সরকার টানা দায়িত্বে আছে এবং থাকার কারণে দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় আছে। সংসদের বাইরে বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটছে না। হরতাল নেই। সংসদ কার্যকর থাকার কারণে যেকোনো ইস্যু আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম