চিরকুটে জানা গেল দত্তক নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে
৬ মে ২০১৮ ২২:০৭ | আপডেট: ৬ মে ২০১৮ ২২:২৩
।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।
ঢাকা: ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে দত্তক নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগে রাজধানীর উত্তরা থেকে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ জানায়, আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অপরাধ করে পার পেতে তিনি নিজেকে মেজর পরিচয় দিতেন।
বোনকে উদ্ধার করতে ভুক্তভোগীর ভাই রোববার (৬ মে) দুপুরে থানায় লিখিত অভিযোগ করলে, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ৮ নম্বর সড়কের ২২ নম্বর বাসার ২য় তলা থেকে এদিন বিকেল ৫টায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। সন্ধ্যায় আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রীকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়।
উত্তরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, আনিসুর রহমান আসলেই সেনা বাহিনীর মেজর কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ভুক্তভোগী তরুণীর ভাই সারাবাংলাকে বলেন, এক বন্ধুর মাধ্যমে আনিসুর রহমানের সঙ্গে পরিচয় হয় তাদের। আনিসুর নিঃসন্তান জানিয়ে গত ১১ এপ্রিল তার ছোটবোনকে দত্তক নেন। আইনি চুক্তিও হয়। কথা ছিল ভালো ছেলের সঙ্গে বোনের বিয়ে দেবেন। দত্তক নেওয়ার পর পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হতো না।
“গত শুক্রবার (৪ মে) আমি এবং আমার মা আনিসুর রহমানের বাসায় যাই। তখনও আমাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি, বরং তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরদিন শনিবার (৫ মে) আমার বড় বোন ও দুলা ভাই ওই বাসায় গেলে আনিসুর রহমান এবং তার স্ত্রী উপস্থিত থেকে দেখা করতে দেন। এরই এক ফাঁকে আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রীর চোখ এড়িয়ে আমার বোন একটি চিরকুট ধরিয়ে দেয়। তাতে লেখা ছিল, দত্তক নেওয়ার পর থেকেই আমার বোনের সঙ্গে বাজে আচরণ করা হচ্ছে। যত ধরনের খারাপ কাজ আছে, তার সঙ্গে তাও করা হয়েছে।”
চিরকুটে আরও লেখা ছিল, তাকে ওই বাসা থেকে নিয়ে আসা না হলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে সে।
উত্তরা পশ্চিম থানার আরেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, ওই তরুণীকে ধর্ষণ করাই ছিল আনিসুর রহমানের আসল উদ্দেশ্য। আমাদের কাছে তথ্য এসেছে, আরও অনেক তরুণীকে এখানে এনে আটকে রাখা হতো। বিপথগামী অনেকে ‘কাস্টমার’ হিসেবে আনিসুর রহমানের বাসায় আসতো। এটা তার পেশা ছিল।
ভুক্তভোগীর ভাই আরও বলেন, তাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুরে। ঢাকায় তারা মুগদা এলাকায় বসবাস করেন। বাবা গাড়ি চালক ছিলেন। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই তাদের সংসারে অভাব চূড়ান্ত আকার নেয়।
সারাবাংলা/ইউজে/এটি
** দ্রুত খবর জানতে ও পেতে সারাবাংলার ফেসবুক পেজে লাইক দিয়ে রাখুন: Sarabangla/Facebook