শত কোটি টাকার মালপত্র নিয়ে রাস্তায় ব্যবসায়ীরা
৪ এপ্রিল ২০২৩ ১২:২০
ঢাকা: ‘মা, তুমি চিন্তা করো না। আমি ভালো আছি। আমার সব মালপত্র নামিয়ে ফেলেছি। তুমি চিন্তা করো না।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একুশে হল, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল, সরকারি কর্মচারীর হাসপাতাল ও বঙ্গবাজার সড়কের সন্ধিস্থলে ‘প্রত্যাশা’ ভাষ্ককর্যর পাদদেশে দাঁড়িয়ে ফোনে মা’কে এভাবেই সান্তনা দিচ্ছিলেন মো. জাকির খান।
এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটে একটা দোকান ও একটা গোডাউনের মালিক জাকির হোসেন। এ মার্কেটে আগুন ছড়িয়ে পড়তে একটু সময় লাগায় তিনি তার ৫০ লাখ টাকা মালপত্রের প্রায় সবটুকু নামিয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছেন। এখন ‘প্রত্যাশা’ ভার্ষকর্যের পাদদেশে মালপত্র রেখে দুইজন কর্মচারীসহ পাহারা দিচ্ছেন তিনি।
সারাবাংলাকে জাকির হোসেন বলেন, ‘ঈদ সামনে রেখে দোকানে প্রচুর শাড়ি, থ্রি-পিস ও গার্মেন্ট আইটেম তুলেছিলাম। যার বাজার মূল্য কমপক্ষে ৫০ লাখ টাকা। আমি মোটামুটি সব নামিয়ে ফেলতে পেরেছি। কিছু মালপত্র এরই মধ্যে এখান থেকে সরিয়ে নিয়েছি। বাকিগুলো রয়ে গেছে। রাস্তা ফাঁকা না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে সরানো সম্ভব হচ্ছে। তাই বসে পাহারা দিচ্ছি।’
শুধু জাকির হোসেন না, দোতলা মার্কেট, বঙ্গ সুপার মার্কেট, বঙ্গ ইসলামীয়া মর্কেট, এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেটের হাজার হাজার ব্যবাসীয় শত শত কোটি টাকার মালপত্র নিয়ে রাস্তায় বসে আছেন। ঈদ কেনাকাটার ভরা মৌসুমে ১২ রোজার সকালটা যেখানে শুরু হওয়ার কথা ছিল বেচাকেনার মধ্য দিয়ে, সেখানে ভস্মীভূত দোকানের মালপত্র নিয়ে রাস্তায় বসে রয়েছেন শত শত ব্যবসায়ী।
‘প্রত্যাশা’ ভাস্কর্য থেকে শুরু করে পশ্চিমে একুশে হল ও শেখ হাসিনা বার্ন ইনিস্টিটিউশনের সামনের সড়ক, ফজলুল হক হলের সামনের সড়ক এমনকি হাইকোর্ট মাজারসংলগ্ন ফুটপাতেও মালপত্র নিয়ে বসে আছেন ব্যবসায়ীরা।’
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে। আর সকাল সাড়ে ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। সর্বশেষ, ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে।
সারাবাংলা/এজেড/ইআ