আগুন থেকে বাঁচালেও মালপত্র নিয়ে গেছে চোরে
৪ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:২৩
ঢাকা: আগুন লাগার খবর আমাকে দেয় আমার দোকানের এক কর্মচারী। তাড়াতাড়ি দোকানে গিয়ে মালামাল সরানোর চেষ্টা করি। ঈদের জন্য দোকানে মাল (কাপড়) উঠানো হয়েছিল। অনেকগুলোর বস্তাও খোলা হয়নি। আর তাই সেগুলো দোকান থেকে বের করে রাস্তায় নিয়ে রাখি। কিন্তু সেখানে পরে হিসেব মেলাতে গিয়ে দেখি কয়েক বস্তা কাপড় নেই। আমরা যখন নিজেদের বিপদ কমানোর চেষ্টা করছিলাম, তখন এই ভিড়ের মাঝে চোর কিভাবে এলো বুঝলাম না।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে কথাগুলো বলছিলেন সাইফুল ইসলাম নামে একজন ব্যবসায়ী।
রাজধানীর বঙ্গবাজারে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে ‘মায়ের দোয়া’ নামে একটি শাড়ির দোকান ছিল তার। প্রতিবেদকের সঙ্গে যখন কথা হয় তখন তিনি ভ্যানে করে মালপত্র আরেক স্থানে পাঠাচ্ছিলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘আগুন লাগছে মার্কেটে- এমন খবর পেয়েই ছুটে আসি। অন্যান্যদের মতো আমিও চেষ্টা করি মালপত্র ভেতর থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের করে আনতে। তবে ঈদের বাজারে অনেক মালই দোকানে আসলেও সবগুলোর প্যাকেট এখনো বস্তা থেকে বের করা হয়নি।
তিনি বলেন, ‘ঈদ উপলক্ষে কয়েক কোটি টাকার শাড়ি এনেছিলাম এবার। বেশির ভাগেরই এখন পর্যন্ত বস্তাও খোলা হয়নি। দোকান থেকে সেই বস্তাগুলো তাই আগে বের করি। সেগুলো বের করে সামনের দিকে রাস্তায় রাখি। কিন্তু এরপরের মাল রাস্তায় রাখতে গিয়ে দেখি আগের বস্তা আর নাই। মানুষ যেখানে এই বিপদ থেকে কিভাবে উদ্ধার হবে আর ক্ষয়ক্ষতি মাত্রা কমিয়ে আনবে সেটা ভাবছে, তখন চোর কেমনে আসলো কিছুই বুঝলাম না।’
এ সময় আশেপাশে আরও অনেককে দেখা যায় বস্তায় করে নিজেদের দোকানের মালামাল নিরাপদ স্থানে সড়িয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডে বঙ্গবাজার মার্কেটের আড়াই হাজারসহ আশপাশের মার্কেট সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ হাজার দোকান পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে দোকান মালিক সমিতি।
পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, শুধু বঙ্গবাজার কাঠের মার্কেটেই আড়াই হাজারের মতো দোকান রয়েছে। এখানে ছোট ছোট ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা দোকান করেন। সামনে ঈদ, সবাই ঈদকেন্দ্রিক বেচা-কেনার জন্য পণ্য তুলেছেন দোকানে। এমন সময় এ অগ্নিকাণ্ড বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে এনেছে।’
সারাবাংলা/এসবি/ইআ