Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

খিলক্ষেতে নববধূ হত্যা মামলার রায় ৭ মে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৪:২৬

ঢাকা: রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকায় নববধূ মনিরা পারভীনকে যৌতুকের জন্য হত্যা মামলায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৭ মে ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ছয় দফা রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল।

বুধবার (৫ এপ্রিল) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত হয়নি। এ জন্য আদালত রায়ের তারিখ পিছিয়ে নতুন করে এই দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মনিরার স্বামী নাসির হোসেন, ভাই মাসুদ, বোন হাসিনা ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন ও নাসিরের চাচা দিন ইসলাম। আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার মনিরা ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। পরিবার তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না। পরদিন লোকমুখে জানতে পারেন নাসির হোসেন কাজী অফিসে নিয়ে তাকে বিয়ে করেছেন। এ কথা শোনার পর মনিরার বাবা মোস্তফা নাসিরের বাবা হাছেন আলীর কাছে যান এবং মেয়েকে উদ্ধার করে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ করেন। তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে তার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন।

যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা, মেয়েকে খুনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন নাসির মনিরাকে নিয়ে তার বাড়িতে আসেন। বাড়িতে আসার সঙ্গে সঙ্গে নাসিরের বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারধর, কিল, ঘুষি, মাথার চুল টেনে গুরুতর জখম করে পাশের একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখেন। স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুন সকালে মারা যান মনিরা। এ ঘটনায় ২২ জুন মনিরার বাবা মোস্তফা খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন।

২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি মামলাটি তদন্ত করে ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। মামলার বিচার চলাকালে আদালত আট জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

সারাবাংলা/এআই/ইআ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর