‘বঙ্গবন্ধুর হাতে রাজনীতির হাতেখড়ি, তার কন্যার কৃপায় রাষ্ট্রপতি’
৭ এপ্রিল ২০২৩ ১৮:০১
ঢাকা: রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। আর তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃপায় আমি রাষ্ট্রপতি হয়েছি।
শুক্রবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্জয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে ভাষণদানকালে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ছাত্র হিসেবে আমি খুব একটা ভালো ছিলাম না। এটি অনেকেরই জানা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ইচ্ছা থাকলেও প্রথমবারে তা হয়নি। পরবর্তী সময়ে খেলোয়াড় কোটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি চূড়ান্ত করি। আগ্রহ নিয়ে সাফল্যের খবরটি বঙ্গবন্ধুকে জানাতে তার সঙ্গে দেখা করি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি করার আগ্রহ প্রকাশ করি। আশা ছিল নেতার কাছ থেকে কিছুটা হলেও বাহবা পাব। কিন্তু ফল হলো একেবারে উল্টো। সব শুনে বঙ্গবন্ধু ভারি গলায় বললেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তোর ভর্তি বাতিল। কিশোরগঞ্জে থেকে তোকে রাজনীতি করতে হবে।’
কাছাকাছি থাকা তোফায়েল ভাইকে ডেকে বঙ্গবন্ধু বললেন, ‘হামিদকে সেন্ট্রাল ল’ কলেজে ভর্তি করে বইখাতা দিয়ে কিশোরগঞ্জে পাঠানোর ব্যবস্থা কর।’ আমার জীবনে বঙ্গবন্ধুর কথাই শেষ কথা। সেই থেকে কিশোরগঞ্জকে কেন্দ্র করেই আমার আইন পেশা ও রাজনীতির বিচরণ। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও তা পরিচয় ও আলাপচারিতার মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ ছিল। কিশোরগঞ্জই আমার রাজনীতির চারণভূমি।’
তিনি বলেন, ‘১৯৯৬ সালে সাধারণ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট এককভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়লাভ করলে তিনি আমাকে ডেপুটি স্পিকার পদে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত নেন। শুনেছি এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে দু-একজন ছাড়া তৎকালীন অনেক কেন্দ্রীয় নেতাই না-কি মন্তব্য করেছিলেন যে, ‘হামিদ সাব কখনো কেন্দ্রীয় রাজনীতি করেন নাই।’ কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবকিছু উপেক্ষা করে আমার ওপর আস্থা রেখেছিলেন। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেদিন আমাকে ডেপুটি স্পিকার পদে মনোনয়ন না দিলে হয়তবা কিশোরগঞ্জকে ঘিরেই আমার রাজনীতি আবর্তিত হতো। বঙ্গবন্ধুর হাতে হয়েছিল আমার রাজনীতির হাতেখড়ি ও প্রথম উত্থান। আর ৯৬’তে দ্বিতীয় উত্থান ঘটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এবং তারই উদ্যোগে।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একে