Sunday 08 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সুলতানা জেসমিনের হত্যাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:১৭

ঢাকা: নওগাঁর সুলতানা জেসমিনের হত্যাকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৯ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নসরুল হামিদ মিলনায়তেন আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। নওগাঁয় র‍্যাব হেফাজতে সরকারি কর্মচারী সুলতানা জেসমিন হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল এ প্রতিবাদ সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সুলতানা জেসমিনের হত্যাকে ছোট করে দেখার কারণ নেই। এভাবে হত্যা করে, নির্যাতন করে মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়।’

তিনি বলেন, ‘সুলতানা জেসমিন কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। একজন যুগ্ম সচিবের কথায় তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হল। এটা কোনো সভ্য দেশে হতে পারে না। এটা কোনো গণতান্ত্রিক কিছু হতে পারে না। একজন নাগরিক ও সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া ভয়াবহ আইনের লঙ্ঘন। জেসমি আক্তার র‍্যাবের নির্যাতনে বা স্ট্রোক করে মারা গেলেন, এটা পরের প্রশ্ন। প্রশ্ন একটাই তাকে তুলে নেওয়া হল কোন আইনে?’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন যখন বলছে- এই আইন সংশোধন করা দরকার এবং দুটি ধারা বাতিল করা দরকার। তখন তথ্যমন্ত্রী পরিষ্কার করে বলেছেন যে, এই আইন বাতিল করা হবে না।’

তথ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই আইন দিয়ে আপনারা জনগণের কথা বলার যে অধিকার, সেটাকে পুরোপুরিভাবে হরণ করতে চান, কণ্ঠকে স্তব্ধ করতে চান।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্র নেই বলেই কারও অধিকার নেই। সরকার জোর করে ক্ষমতা দখল করে টিকে থাকার জন্য অনেকগুলো আইন তৈরি করেছে। তারা সংবিধানের মৌলিক জায়গাগুলো পরিবর্তন করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বলে সংবিধান মেনে চলতে হবে। সংবিধানে তো বলাই আছে আমার কথা বলার অধিকার দিতে হবে। সরকারের বিরুদ্ধে কি কথা বলা যাবে না? সরকার কি রাষ্ট্র বা গড? আমি অবশ্য আমার কথা বলব। আমাদেরকে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। বাধা আসবে, বাধাকে অতিক্রম করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের মূল যে আন্দোলন- বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন, বিএনপির ৩৫ লাখ নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে যে মামলা, তা প্রত্যাহার করার আন্দোলন।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ ১৭৩ দিন হরতাল করেছিল। সেই হরতালে অনেক মানুষকে হত্যা করেছিল তারা। তৎকালীন নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জনগণের দাবি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। নবম সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অপকৌশলের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে ২০১২ (২০১১) সালে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা তুলে দেয়। কারণ, তারা জানে- তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা থাকলে তারা আর ক্ষমতা ফিরে আসতে পারবে না। আওয়ামী লীগ এককভাবে বাকশাল কায়েম করতে চায়। সেই ধারাবাহিকতায় তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করেছে।’

মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হেলেন জেরিন খানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান, বিএনপির মিডিয়া ছেলের সদস্য শাম্মী আক্তার, মহিলা দলের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক নায়েবা ইউসুফ, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রুমা আক্তার প্রমুখ।

সারাবাংলা/ এজেড/এনইউ

টপ নিউজ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর