Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঈদ সামনে রেখে ভৈরব রেলস্টেশনে বেড়েছে অপরাধ

এম.এ হালিম
৯ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৩৪

ভৈরব: ঈদ সামনে রেখে ভৈরব রেলওয়ে জংশনে বেড়েছে অপরাধ। প্রতিদিনই ঘটছে চুরি, ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা। অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টির খপ্পরে পড়ে মোবাইল, মানিব্যাগসহ মূল্যবান জিনিস খোয়াচ্ছেন সাধারণ যাত্রীরা।

অপরাধীরা যেন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার মিলছে না। চরম আতঙ্ক ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন যাত্রী সাধারণ। তবে প্রশাসন বলছে অপরাধ দমনে অভিযান অব্যাহত আছে।

ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে বৃটিশ আমল থেকেই এ জংশনের গুরুত্ব রয়েছে। কম খরচে আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের জন্য যাত্রীরা ভৈরব থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম, সিলেট,ময়মনসিংহ,নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন।

প্রতিদিন ভৈরব থেকে এসব স্থানে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার যাত্রী ভ্রমণ করে থাকেন। যাত্রীদের ভ্রমণের জন্য ঢাকা-চট্রগ্রাম রুটে ৮টি আন্তঃনগর ও দুইটি মেইল ট্রেন এবং ঢাকা-সিলেট রুটে ছয়টি আন্তঃনগর ট্রেন ও একটি মেইল ট্রেন চলাচল করে। আর এ সুবাধে চোর,ছিনতাইকারী,অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টি ট্রেনে উঠার সময় প্রতিদিন যাত্রীদের মোবাইল ফোন, মানি ব্যাগ, মূল্যবান জিনিষপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে ।

এছাড়া আখাউড়াসহ ভারতীয় সিমান্ত এলাকা থেকে প্রতিদিন ট্রেনে মাদক ,ভারতীয় জিরা,কিচমিচ ট্রেনে করে ভৈরবে রেলওয়ে থানা পুলিশের সামনে দিয়ে শহরের আমলাপাড়া,পঞ্চবটিসহ বিভিন্ন এলাকায় ঢুকছে।

অভিযোগ রয়েছে রেলওয়ে থানার কতিপয় অসাধু পুলিশ সদস্য কখনও কখনও মাদক আটক করে থানায় না নিয়ে তাদের ব্যারোকে নিয়ে যায়। পরে মিডিয়া ও লোকজন জানাজানি হলে সেখান থেকে থানায় নিয়ে নামকাওয়াস্তে মাদক মামলা করা হয়। ভৈরব রেলওয়ে পুলিশের কয়েকজন অসাধু পুলিশ সদস্যদের ম্যানেজ করেই চলে এসব অপরাধ। যাত্রী সাধারণ ও স্থানীয়দের দাবি এসব অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে নিরাপদ ট্রেন ভ্রমণে যেন ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় লোকজন জানান, দীর্ঘদিন ধরেই ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশনে চুরি, ছিনতাই, অজ্ঞানপার্টি, মলম পার্টির দৌরাত্ম বেড়েছে। ট্রেনে মাদক পাচার ও টিকেট কালোবাজারিসহ নানা অপরাধ বেড়েছে। মানিব্যাগ, মোবাইল ও মালামাল খোয়া গেলে পুলিশকে বলে কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না।

 

রেলস্টেশনে অপরাধ বেড়েছে বিষয়টি মানতে রাজি নয় পুলিশ। তারা বলছেন, অপরাধ দমনে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

ঢাকা জেলা রেলওয়ে সহকারী পুলিশ সুপার মাজহারুল হক জানান, ছিনতাইকারী, মলমপার্টি, মাদক নির্মূলে পুলিশ জিরোটলারেন্সে কাজ করছে। তাছাড়া পুলিশের কোন সদস্য যদি কোনো ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকে এবং তা প্রমাণিত হলে অবশ্যই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন মাস্টার নুরনবী জানান, এখন ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হয়। তবে কেউ যদি টিকেট অনলাইনে কেটে কালোবাজারে বিক্রি করে সেক্ষেত্রে যাত্রীরা যেন তাদের কাছ থেকে টিকেট ক্রয় না করেন।

এসময় তিনি আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা আমাদেরকে অভিযোগ দিলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নিব। স্টেশন এলাকায় সিসি ক্যামেরা আছে, কেউ অভিযোগ দিলে তা পর্যবেক্ষণ করে দেখা হবে।

সারাবাংলা/ এম এ এইচ/ এনইউ

টপ নিউজ ভৈরব রেলস্টেশন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর