প্রণোদনার সার-বীজ উদ্ধার: প্রধান আসামি গ্রেফতার, তদন্ত কমিটি গঠন
১০ এপ্রিল ২০২৩ ১৫:৪০
রংপুর: গঙ্গাচড়ায় কৃষি প্রণোদনার ১৭৯ বস্তা বীজ ও সার উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আলমগীর হোসেনকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১০ এপ্রিল) সকালে গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার রাতে রংপুর নগরীর পাকারমাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে সার ও বীজ উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে পৃথক দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এরমধ্যে গঙ্গাচড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নয়ন কুমার সাহাকে আহ্বায়ক ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদুল হক ও উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আফতাবুজ্জামান সদস্য করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ইউএনও’র দফতরে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালকের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটিতে রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এনামুল হককে আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত উপপরিচালক শামিমুর রহমান ও খালেদুর রহমানকে সদস্য করে আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তাদের আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘তদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ায় আলমগীর হোসেন নামে এক বীজ ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে কৃষি প্রণোদনার ১৫৩ বস্তা ধানবীজ (প্রতি বস্তা ১০ কেজি), ২০ প্যাকেট পাটবীজ (প্রতি প্যাকেট এক কেজি) ও ১২ বস্তা রাসায়নিক সার (প্রতি বস্তা ৫০ কেজি) উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া থানা পুলিশ। ওই দিন বিকেলে উপজেলা পরিষদের ভেতর থেকে ভ্যানবোঝাই ১৪ বস্তা ধানের বীজ জব্দ করে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন।
এ ঘটনায় গত সেদিন রাতেই উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে আলমগীর হোসেনকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা তিন–চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।
সারাবাংলা/এমও