আমদানি করা ল্যাপটপে ভ্যাট প্রত্যাহার চায় কম্পিউটার সমিতি
১১ এপ্রিল ২০২৩ ২২:১০
ঢাকা: আমদানি করা ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটযুক্ত করা মোটেই যৌক্তিক নয়। তাই আগামী বাজেটে এই অতিরিক্ত শুল্ক এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস)।
সোমবার (১০ এপ্রিল) রাজধানীর বিসিএস ইনোভেশন সেন্টারে বিসিএস আয়োজিত বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) ও টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড অব বাংলাদেশ (টিএমজিবি)-এর সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে এই দাবি জানানো হয়।
বিসিএস সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, প্রযুক্তি সাংবাদিকদের লেখনির মাধ্যমে প্রযুক্তিখাতের খুঁটিনাটি উঠে আসে। তাদের সংগঠনের নতুন নেতৃত্ব সংবাদকর্মীদের আরও বেশি সমৃদ্ধ হতে সহযোগিতা করবে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দেবেন।
তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি পণ্য বিশেষ করে প্রযুক্তি ব্যবসায়ীরা পিসি ও প্রিন্টারসহ বেশকিছু পণ্য দেশেই অ্যাসেম্বল করে। তাই আমদানি করা ল্যাপটপের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাটযুক্ত করা মোটেই যৌক্তিক নয়। এতে করে দাম বেড়ে যাওয়ায় ল্যাপটপ চলে যাচ্ছে ক্রেতাদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। আগামী বাজেটে এই অতিরিক্ত শুল্ক এবং ভ্যাট অবশ্যই প্রত্যাহার করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘ক্রেতাদের অধিকার সুরক্ষায় দেশের তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চিত করতে ভোক্তা অধিকারে ওয়ারেন্টি নীতিমালা জমা দিয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি। একইভাবে মূল্য নিয়ে ভোক্তা-বিক্রেতার মধ্যে দূরত্ব কমাতে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চূড়ান্ত করেছে এমআরপি নীতিমালা। অল্পদিনের মধ্যেই বাজারের প্রতিটি আইটি পণ্যে এমআরপি স্টিকার নিশ্চিত করা হবে।’
বিসিএস মহাসচিব কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, ‘আইসিটি সবার। কিন্তু ভ্যাট-ট্যাক্সের কারণে বছর ঘুরতেই আইসিটি পণ্যের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশের মতো। তাই এই ভ্যাট ট্যাক্স মওকুফ করতে গণমাধ্যমের লেখনীর মাধ্যমে ভূমিকা রাখা উচিৎ বলে আমি মনে করি।’
বিসিএস সহ-সভাপতি মো. রাশেদ আলী ভূঁইয়া বলেন, ‘বিসিএস কার্যনির্বাহী কমিটি সংবাদকর্মীদের সঙ্গে স্বতন্ত্রভাবে এবার ইফতারের আয়োজন করেছে। আমরা আশা করছি ভবিষ্যতেও আমাদের এই উদ্যোগ চলমান থাকবে। বিসিএস-এর আজকের অবস্থানের পিছনেও গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।’
আমরা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আপনাদের অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) সভাপতি নাজনীন নাহার বেগম বলেন, টেকনোলজি ইনক্লুশনের যে জায়গায় আমাদের হার্ডওয়্যার ইন্ডাস্ট্রি দাঁড়িয়ে আছে, সেটি একদিকে খুবই ভালনারেবল, অন্যদিকে এনকারেজিংও। এই কঠিন জায়গায় আরও কাজ করতে হবে। আমাদের হার্ডওয়্যারের মেনুফ্যাকচারিং প্লান্ট নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তথ্য-উপাত্তের প্রাপ্যতা যথেষ্ট নয়। আমরা বিসিএস-এর কাছে পর্যাপ্ত তথ্য-উপাত্ত চাই, যাতে করে আমরা মূল সমস্যা উদঘাটন করে রিপোর্ট করতে পারি। আমরা এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করে বাধা ও উত্তরণের পথ খুঁজতে চাই।
টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড বাংলাদেশ (টিএমজিবি) সভাপতি মো. কাউছার উদ্দিন বলেন, আমরা মনে করি আমরা যদি নিজের প্রতি ইনভেস্টমেন্ট করি, একসময় এর রিটার্ন আসবে। আগামীর প্রযুক্তি পাঠকের কাছে জনপ্রিয় করতে সাংবাদিকদের বিষয়ভিত্তিক ওরিয়েন্টেশন কোর্স করানো যায় কি-না বিসিএস তা ভেবে দেখতে পারে।
বিসিএস-এর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরাম (বিআইজেএফ) এবং টেকনোলজি মিডিয়া গিল্ড অব বাংলাদেশ (টিএমজিবি)-এর নব নির্বাচিত কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন জানানো হয়।
সারাবাংলা/একে
