ডা. জাফরুল্লাহর কর্মময় জীবন
১২ এপ্রিল ২০২৩ ০২:০৩
ঢাকা: দেশে গণস্বাস্থ্যের পুরোধা ব্যক্তিত্ব ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি লন্ডন থেকে ফিরে আগরতলার মেলাঘরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে গেরিলা প্রশিক্ষণ নেন। পরে ডা. এম এ মবিনের সঙ্গে মিলে সেখানেই ৪৮০ শয্যাবিশিষ্ট “বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল” প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করেন। তিনি অসংখ্য যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসা করে মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখেন। স্বল্প সময়ের মধ্যে বহু নারীকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য জ্ঞান দিয়ে মাঠ পর্যায়ে রোগীদের সেবা করার সুযোগ তৈরি করেন। তার এই সেবাপদ্ধতি ল্যানসেট জার্নালে প্রকাশিত হয়।
স্বাধীনতার পর তিনি আর ইংল্যান্ডে ফিরে যাননি। দেশেই শুরু করেন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহযোগিতায় সাভারে গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
ভাস্কুলার সার্জন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর, চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। বাবা ছিলেন বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের একজন ছাত্র। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকার বকশীবাজারের নবকুমার স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন এবং ঢাকা কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন। পরে তিনি ১৯৬৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। ১৯৬৭ সালে ব্রিটেনের রয়্যাল কলেজ অব সার্জনস থেকে এফআরসিএস প্রাইমারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
১৯৮২ সালে দেশের ওষুধ নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৭ সালে তিনি স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৮৫ সালে ফিলিপাইন থেকে রামন ম্যাগসাইসাই এবং সুইডেন থেকে বিকল্প নোবেল হিসাবে পরিচিত রাইট লাভলিহুড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো’ এবং মানবতার সেবার জন্য কানাডা থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
সারাবাংলা/আইই