ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ, মায়ের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
১২ এপ্রিল ২০২৩ ১৩:২৫
ঢাকা: রাজধানীতে ভুল চিকিৎসায় রাইম আমিল নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগে দুই চিকিৎসক, মাসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছেন শিশুটির বাবা কামরুজ্জামান।
বুধবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল আলমের আদালতে এই আবেদন করা হয়। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনায় আদেশের জন্য রেখেছেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী প্রকাশ রঞ্জন বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাদেরকে মামলায় আসামি করার আবেদন করা হয়েছে, তারা হলেন- হেলথ এন্ড হোপ হসপিটালের শিশু হেমাটোলজী ও অনকোলজী বিভাগের প্রফেসর ডা. মো. আনোয়ারুল করিম, আজগর আলী হসপিটালের শিশু সার্জারি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. রুহুল আমীন হাসান, শিশুটির মা মাসুমা আহমেদ, খালু ইমন আলম, মামা শিহাব আহমেদ ও মাসুমার মামা হাবিব মজুমদার।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ নভেম্বর কামরুজ্জামান সঙ্গে মাসুমা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিবাহের পর মাসুমা সব সময় সংসারের প্রতি অমনোযোগী ও বাবার বাসায় অবস্থানের চেষ্টা করতেন। ছেলে বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে আগ্রহী ছিলেন। এ বিষয়ে ইমন, শিহাব ও হাবিব তাকে সহযোগিতা করতো। অনেক বুঝানোর পরও সে ওই পথ থেকে ফিরে আসেননি। ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট রাইম আমিল নামে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। এরপরও মাসুমার কোনো পরিবর্তন হয়নি। মায়ের অবহেলা ও অযত্মের কারণে শিশুটি প্রায় অসুস্থ থাকতো।
২০২২ সালের ২০ মার্চ শিশুটিকে অধ্যাপক ডা. এ. কে. মোশতাকের কাছে নিয়ে যান বাবা। তিনি জানান, শিশুটি ইনসাইস্ট্রেড হাইড্রোসেল নামক রোগে আক্রান্ত। তিনি দ্রুত অপারেশনের পরামর্শ দেন। ৯ এপ্রিল শিশুটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিনই ভর্তি করাতে বলেন। কিন্তু বাদীর স্ত্রী ও স্বজনদের অনীহার কারণে সেখানে ভর্তি না করে ১৭ এপ্রিল আসগর আলী নিয়ে যাওয়া হয়। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শিশুটিকে অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি করতে বলা হয়। ২৩ এপ্রিল ডা. রুহুল আমীন হাসান শিশুটির টিউমার অর্ধেক অস্ত্রোপচার করেন এবং অর্ধেক রেখে দেন।
এরপর ২৬ এপ্রিল তাকে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু থাকায় এবং শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ডা. আনোয়ারুল করিমের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটির মা ও তার স্বজনদের জোরাজোরিতে আনোয়ারুল করিম তাকে কেমোথেরাপী দেন। এরপর ২০২২ সালের ৩০ জুলাই শিশুটি মারা যায়। পরে শিশুটির বাবা অন্য চিকিৎসকের কাছ থেকে জানতে পারেন, মাত্রা নির্ণয় না করে শিশুটিকে অধিক মাত্রার কেমো থেরাপী দেওয়া হয়েছে।
সারাবাংলা/এআই/ইআ