‘গণতন্ত্রের হাত-পা ভেঙে বলছে তাদের হাতেই গণতন্ত্র নিরাপদ’
১৩ এপ্রিল ২০২৩ ০০:০৯
ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ ওয়ান ইলেভেনের সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে নির্বাচনের নামে তারা প্রহসন করেছে। এভাবে পর্যায়ক্রমে গণতন্ত্রের হাত-পা ভেঙে দিয়ে বলছে তাদের হাতেই গণতন্ত্র নিরাপদ।
বুধবার (১২ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল আয়োজন করে জিয়া পরিষদ।
‘একমাত্র আওয়ামী লীগের কাছেই গণতন্ত্র নিরাপদ’— দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘অথচ চুয়াত্তর সালে প্রথম সংবিধান সংশোধন করে ‘কালাকানুন’ করেছে আওয়ামী লীগ। যশোরে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সমাবেশে হামলা হয়েছে আওয়ামী লীগের সময়। আসলে দেশের যত খারাপ কাজ হয়েছে, সবই আওয়ামী লীগের আমলে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানের প্রশিক্ষিত বাহিনীর বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। যে স্বপ্ন নিয়ে আমরা দেশটা স্বাধীন করেছিলাম, সেটা আজ ভূলুণ্ঠিত। শুধু রাষ্ট্র ক্ষমতা ধরে রাখার চেতনা দেশের সর্বনাশ করেছে। যারা দেশ স্বাধীন করেছেন, তাদের এখন অসম্মান ও হয়রানি করা হচ্ছে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বড় অদ্ভুত ব্যাপার! বলা হয় বাংলাদেশ নাকি খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ খাদ্য আমদানি করতে হয়। বলা হয় বিদ্যুৎ নাকি ফেরি করে বিক্রি করা হবে। কিন্তু বাস্তবে কী অবস্থা? আর আমরা শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলাম সেটাই দোষ।’
নেতাকর্মী ও পেশাজীবীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘লড়াইয়ের কোনো বিকল্প নেই। যদি আমরা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ভালোবাসি, গণতন্ত্রকে চাই তাহলে আমাদের লড়তে হবে। এই ফ্যাসিস্ট ও অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজয়ী হতে হবে। বাংলাদেশ বিএনপির হাত ধরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।’
জিয়া পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, সংগঠনের নেতা ডা. মজিবুর রহমান হাওলাদার, অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাহফুজুর রহমান, আব্দুল্লাহিল মাসুদ, আবুল কালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম শহীদ, মো. রবিউল ইসলাম, শহিদুল হক শহিদ প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম