‘কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে’
১২ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৩৯
ঢাকা: রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিদ্যমান কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দেশের উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি।
বুধবার (১২ এপ্রিল) হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁয় রাজনীতিবিদ ও বিশিষ্টজনদের সম্মানে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের অধিকাংশ মানুষ এক কঠিন সময় পার করছেন। বিশ্ব পরিস্থিতির সুযোগে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী নিজেদের ইচ্ছে মতো পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে। অপরদিকে কিছু রাজনৈতিক দল বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় না এনে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার পাঁয়তারা করছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের টেকসই উন্নয়ন ও আইনের শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হলে ষড়যন্ত্রকারী, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজদের কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। টালমাটাল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে ১৯৭১ সালে মতো ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হবে।’
সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র করছে। এই প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে জনগণকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নিয়মে সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারি।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতার পটপরিবর্তন করতে হলে নির্বাচনের বিকল্প আছে বলে বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি মনে করে না। গণতান্ত্রিক পথ রুদ্ধ হলে অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান ঘটে। অগণতান্ত্রিক শক্তির উত্থান হলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ব্যাহত হয়। তাই আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে যে কোনো সমস্যার সমাধান হওয়া বাঞ্ছনীয়।’
ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ইব্রাহিম বীর প্রতীক, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মিজবাহুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, বাংলাদেশ রিপাবলিকান পার্টির (বিআরপি) চেযারম্যান ডা. এ.কে.এম ফজলুল হক, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (বিএনডিপি) চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান এম এ ভাসানী, বাংলাদেশ মানবতাবাদী পার্টির চেয়ারম্যান মুফতি আবদুল মাজিদ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতা উল্লাহ খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক হাজী মো. দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ তাঁতী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তানভীর ইমাম, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় পরিষদের নির্বাহী মহাসচিব মাওলানা আ.ন.ম. মাসউদ হোসাইন আল ক্বাদেরী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দলের চেয়ারম্যান মো. ফয়েজ চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খন্দকার এনামুল নাছির, বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক মুক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. আশরাফ আলী হাওলাদার, জাতীয় মানবাধিকার সোসাইটির ফাউন্টার অ্যান্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. নজরুল ইসলাম তামজিলসহ অনেকে।
সারাবাংলা/এজেড/এমও