ঢাকা: আসন্ন বাজেটে কষ্ট পাওয়ার মতো কিছুই থাকবে না বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেছেন, বাজেটে কষ্ট পাওয়ার মতো কিছু থাকবে না। সামনে যাওয়ার জন্য যেসব উপাদান থাকা দরকার, আগামী বাজেই তাই থাকবে। আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) মনের মতো করই বাজেট সাজানো হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৩ তম সভায় অর্থমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম। এসময় এফবিসিসিআইয়ের পক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা ঠকবেন না, আপনারা জিতবেন, আমরা জিতব। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে এগিয়ে যাব। আমরা পিছিয়ে থাকব না, সবক্ষেত্রেই আমরা অসাধারণ সফলতা অর্জন করতে পেরেছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তিনি নিজে আমাদের সব ক্ষেত্র গাইড করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এগিয়ে যাচ্ছি, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থনীতিতে আমরা আগে ৪১ তম দেশ ছিলাম, এখন ৩৫ তম দেশ। আমরা এখন উন্নয়শীল দেশে পরিণত হচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা উন্নত দেশ হবো। আমি বিশ্বাস করি আপনাদের সহযোগিতায় অবশ্যই আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’
সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেন, ‘সামনে আমাদের এলডিসি গ্রাডুয়েশন মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ সহ্য করতে হবে। সে লক্ষ্যে যদি প্রস্তুতি না নিই তাহলে পা পিছলে পড়ে যাব। সামনে আমাদের আমদানি নিয়ন্ত্রণ তুলে দিতে হবে। আমাদের আরও বেশি রেভিনিউ আর্ন করতে হবে। এর সবগুলোই একটির সঙ্গে আরেকটি সাংঘর্ষিক। এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের আরও বেশি কমপেটেটিভনেস হতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমিয়ে নিজেদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যেহেতু জ্বালানি ও প্রাথমিক উপকরণ আমাদের আমদানি করতে হয়, তাই কম ভ্যালুর পণ্য উৎপাদন না করে এখন থেকে আরও হাই ভ্যালুর পণ্য উৎপাদনে মনযোগ দিতে হবে।’
এদিকে, ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির এই সভায় এ প্রস্তাব দেন সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
জসিম উদ্দিন বলেন, ‘শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর জন্য আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব করছি। বর্তমানে অগ্রিম আয়করের হার ৫ শতাংশ। উল্লেখ্য যে, অগ্রিম আয়করের হার ৩০ জুন ২০১০ পর্যন্ত ৩ শতাংশ ছিল।’
তিনি বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয়, মূল্যস্ফীতি এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ব্যক্তি করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ লাখ টাকা এবং মহিলা ও সিনিয়র নাগরিকদের জন্য সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৪ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করছি।’