Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সোলারের সরঞ্জামাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত চায় বিজিএমইএ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৫ এপ্রিল ২০২৩ ১৬:৫০

ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য সোলার সিস্টেমের সরঞ্জামাদি আমদানিতে শুল্ক রেয়াত সুবিধা চেয়েছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে লেখা এক চিঠিতে এ সুবিধা চেয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বিজিএমইএ।

অর্থমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে বলা হয়, তৈরি পোশাক খাত দীর্ঘদিন ধরে আমাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে প্রধান ভূমিকা পালন করে আসছে। গত অর্থবছরে আমরা বিশ্বের ১৯৭ দেশে ৪২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি করেছি। এই শিল্পটিতে প্রায় ৪০ লাখ কর্মী কর্মরত রয়েছে এবং আমাদের জিডিপিতে ১১ শতাংশ ও সামগ্রিক রফতানিতে ৮৪ শতাংশ অবদান রাখছে। সমগ্র বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বিভিন্ন সংকট সৃষ্টির আশংকায় রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বকে কতটা পরিবর্তন করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে একটি বিষয় নিশ্চিত- পরিবেশ প্রতিকূলে হলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে না। পরিবেশ বান্ধব শিল্প তৈরিতে বাংলাদেশ বিশ্বে একটি অন্যান্য অবস্থান অর্জন করেছে। বিশ্বের সর্বাধিক পরিবেশ বান্ধব সবুজ কারখানার আবাসস্থল এখন বাংলাদেশে।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে বলা হয়, বর্তমান দেশে সনদপ্রাপ্ত ১৯৩টি লিড সার্টিফাইড গ্রিন কারখানা রয়েছে, যার মধ্যে প্লাটিনাম রেটেড ৬৯টি এবং ১১০টি গোল্ড রেটেড। বিশ্বের সেরা ১০০টি লিড সনদপ্রাপ্ত কারখানার মধ্যে ৫৩টি বাংলাদেশে অবস্থিত।

চিঠিতে বলা হয়, দেশে জ্বালানি সংকট নিরসনের জন্য সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানি শিল্পখাতে ব্যবহারের জন্য উদ্যোক্তাদের উদ্বুদ্ধ করছেন। কিন্তু সোলার সিস্টেম শিল্প প্রতিষ্ঠানে স্থাপনের ক্ষেত্রে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ থাকার কারণে উদ্যোক্তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। ফলে জ্বালানি সাশ্রয় করা এবং সবুজ কারখানা স্থাপন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও আপনি অবগত আছেন যে, বিদেশি ক্রেতাগণ শিল্প কারখানাসমূহকে কমপ্লায়েন্স এর আওতাভুক্ত হওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছেন। শিল্প কারখানায় সোলার প্যানেল সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে পরিবেশবান্ধব শিল্প কারখানা গড়ে তোলা সম্ভব। এছাড়া বিদেশি ক্রেতাগণ কমপ্লায়েন্ট কারখানার মাধ্যমে পোশাক উৎপাদন করে আমদানি করতে আগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

চিঠিতে আরও বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ভিশন নিয়েছেন। জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির ফলে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার সহজলভ্য হলে উৎপাদন ব্যয় হ্রাস পেয়ে রফতানি সক্ষমতা বাড়বে। সোলার পিভি সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে তৈরি পোশাক কারখানাগুলো নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়, কার্বনডাই অক্সাইড নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনসহ প্রধানমন্ত্রীর নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের ভিশন অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এছাড়াও বিজিএমইএ ২০৩০ সাল নাগাদ কার্বন নিঃসরণ ৩০ শতাংশ কমিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। আমাদের পোশাক কারখানাগুলো ইতিমধ্যে সোলার প্যানেলভিত্তিক নবায়নযোগ্য এনার্জি প্ল্যান্ট স্থাপনে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। কিন্তু সোলার প্যানেল সিস্টেমের সরঞ্জামাদির উচ্চমাত্রার শুল্ক-করের কারণে দেশের নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারের যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

সোলার সিস্টেমের বিভিন্ন সরঞ্জামাদি আমদানিতে বর্তমানে ২৬.২ শতাংশ থেকে ৫৮ দশমিক ৬ শতাংশ পর্যন্ত টোটাল ট্যাক্স ইনসিডেন্স (টিটিআই) প্রযোজ্য রয়েছে। এই শুল্ক এক শতাংশে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে ওই চিঠিতে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/আইই

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর