নতুন বছরেই আমিরাতের শ্রমবাজারে সুখবর!
১৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:২৮
সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
নানামুখী জটিলতা কাটিয়ে নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর আসতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম শ্রমিক রফতানিকারক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে। দেশটির সঙ্গে ইতোমধ্যে বেশকিছু অগ্রগতি হয়েছে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশটি বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ না করলেও যে প্রক্রিয়ায় তারা ভিসা দিচ্ছেন তা এতটাই কষ্টসাধ্য যে ‘হিমালায় জয় করার মতো’। এ অবস্থায় দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক দেন-দরবার চলছে। আশা করা হচ্ছে খুব শিগ্গিরই একটা ‘ব্রেকথ্রু’ হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটিতে প্রতি বছর যেখানে কয়েক লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হতো, সেখানে বছরে এখন কয়েক হাজার শ্রমিক প্রবেশ করতে পারেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে শ্রমবাজার উন্মুক্ত হওয়ার আশা থাকলেও শেষ পর্যন্ত শ্রমিক নেওয়ার ঘোষণা দেয়নি আমিরাত। ফলে কার্যত কাজে আসেনি উচ্চপর্যায়ের সেই সফর। এরপর থেকে আজ অবধি বড় কোনো সফর দুই দেশের মধ্যে হয়নি।
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, গত কয়েক বছরে বহুপাক্ষিক কয়েকটি সম্মেলনে দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে বন্ধ শ্রমবাজার খোলার বিষয়টি তোলা হলেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। কেবল প্রতিশ্রুতিই শোনা গেছে। সর্বশেষ জিএফএমডি (গ্লোবাল ফোরাম অন মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকায় এসে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটির প্রতিনিধিরা। সেখানেও ইতিবাচক ইঙ্গিত মেলে। এরপর থেমে যায় সেই প্রক্রিয়া। তবে সম্প্রতি সে প্রক্রিয়া আবার শুরু হওয়ায় অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে। দেশটিতে এখনো প্রায় ১২ লাখ বাংলাদেশি রয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে, আমিরাতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত সাঈদ বিন হাজার আল শাহি রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাতে যান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শ্রমিক রফতানি ইস্যুতেও কথা বলেন।
ওই সূত্রটির দাবি, আমিরাতের সঙ্গে শ্রমিক ইস্যুতে চলা অচলাবস্থা নিরসনে ইতোমধ্যে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অচলাবস্থা কেটে যাবে। সেটা দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের ভিজিটের মাধ্যমেও হতে পারে। আবার ভিজিট ছাড়াও হতে পারে। তবে কিছু একটা যে হচ্ছে সেটি নিশ্চিত। যদিও এর বেশি এখনই পষ্ট করেনি সূত্রটি।
সারাবাংলা/এমএস/আইজেকে