ঢাকা: রোদের তাপে শরীরে ফোস্কা পড়ার অবস্থা। দিনের বেলা তো বটেই রাতেও ঘরে থাকা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বৈশাখের শুরুতেই অত্যাধিক তাপমাত্রায় জনজীবনে নেমে এসেছে অস্থিরতা। ঘরের বাইরে বের হলেই অসুস্থ বোধ করছে মানুষ। এই পরিস্থিতি বিরাজ করছে দেশের আট জেলায়। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রিতে। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এই পরিস্থিতির পরিবর্তন আসতে পারে পরবর্তী ৭২ ঘন্টা পর।
আবহাওয়ার দৈনিক প্রতিবেদন বলছে, রোববার (১৬ এপ্রিল) দেশের আট জেলার ওপর দিয়ে তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙা ও কুষ্টিয়া। এ সকল জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আর অন্যান্য জেলাগুলোতে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে কিন্তু সামান্য বাড়তে পারে রাতের তাপমাত্রা।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ মোংলা, যশোর আর কুমার খালির তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ফরিদপুরে ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ঈশ্বরদিতে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়ছে। আরও কমপক্ষে ১০ জেলার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে।
অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে বাতাসের আর্দ্রতা কমে গেছে। এদিন বাতাসের আদ্রর্তা রেকর্ড করা হয়েছে ৭৮ শতাংশ। যা স্বাভাবিক সময়ে থাকে ৯০ শতাংশ। আর বাতাসের গতিবেগ ছিল পশ্চিম ও দক্ষিন পশ্চিম দিক থেকে শূন্য ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বেগে।
উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই রাজধানীর আবহাওয়া উতপ্ত। ৪০ থেকে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রির ওপরে বয়ে যাচ্ছে তাপমাত্রা। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ১৯৬৫ সালে ঢাকায় ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। এরপর গত শনিবার রেকর্ড করা হলো ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঝের বছরগুলোতে এই পরিমান তাপমাত্রা উঠতে দেখা যায়নি।