তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণ করছে সরকার, সতর্ক থাকার আহ্বান
১৬ এপ্রিল ২০২৩ ২৩:৪৭
ঢাকা: বৈশাখের শুরুতেই তীব্র তাপদাহ রাজধানীসহ সারাদেশে মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। চৈত্রের শেষ থেকে শুরু হওয়া তীব্র দাবদাহে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরম অনুভূত হওয়ার মাত্রাও বাড়ছে। আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলোতে শেষ মুহূর্তের কর্মব্যস্ত সময় পার করছে মানুষ। রোজাদার ব্যক্তিরা রোজা রেখে বাইরে যাচ্ছেন। আর এতে দীর্ঘ সময় পানি না পান করা হচ্ছে না। এছাড়া তীব্র দাবদাহে শরীর থেকে প্রচুর ঘাম নির্গত হওয়ায় পানি শূন্যতার পাশাপাশি হিটস্ট্রোকসহ অন্যান্য শারীরিক অসুস্থতার সম্ভাবনাও বাড়ছে। আবার যারা রোজা রাখছেন না তারা বাইরের খোলা খাবার, শরবত, ঠাণ্ডা পানি খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে। গরমে অস্বস্তি বাড়ছে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের মাঝে।
আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, ৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে তাপপ্রবাহ বাড়ছে প্রায় সারাদেশেই। প্রথমে এটি রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু জায়গা থেকে শুরু হলেও ধীরে ধীরে এখন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। রোববার (১৬ এপ্রিল) এবং সোমবার (১৭ এপ্রিল) তাপমাত্রা বাড়ার এই প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর থেকে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা থাকলেও তাপপ্রবাহ চলবে আরও কিছুদিন। এই সময়ে দেশের কিছু স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকলেও তা কতটা তাপপ্রবাহ কমাবে সে বিষয়ে কোনো কিছুই বলা সম্ভব না বলে জানানো হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে সরকার জানিয়েছে, তাপমাত্রা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে তবে স্বাভাবিকভাবেই সবকিছু চলবে। কিন্তু যদি তাপপ্রবাহ না কমে সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট তীব্র গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের হৃৎপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এ থেকে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই অবস্থাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। এছাড়াও উচ্চ তাপমাত্রা জনিত কারণে নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
আবহাওয়া পরিস্থিতি
আবহাওয়া অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৬৫ সালে রাজধানীবাসী সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন পার করেছিল। তখন ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ।
অথচ শনিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তবে এই সর্বোচ্চ পরিসংখ্যানও ছাড়িয়ে যায় রোববার (১৬ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত পাওয়া তাপমাত্রার পরিসংখ্যান। এদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এর আগে, ১৯৬৫ সালে রাজধানীবাসী সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন পার করেছিল। তখন ঢাকার তাপমাত্রা উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল পাঁচ দশকে সর্বোচ্চ। আর টানা ১৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে চুয়াডাঙ্গায়।
ঢাকা বিভাগের মধ্যে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ফরিদপুর জেলায় ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি। এছাড়াও ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম বিভাগে বান্দরবন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গলে ছিল সর্বোচ্চ ৩৭ দশমিক ৫ ও সর্বনিম্ন ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি। রাজশাহী বিভাগে পাবনার ঈশ্বরদীতে সর্বোচ্চ ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি ও সর্বনিম্ন নওগাঁর বদলগাছীতে ২২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
রংপুর বিভাগের সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বরিশালের খেপুপাড়ায় ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, তিন কারণে এবারের তাপপ্রবাহের মাত্রা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি। যার একটি হলো জলীয় বাষ্প অস্বাভাবিক থাকা, দক্ষিণ-পূর্ব মৌসুমি বায়ু কম আসা ও সাগরে কোনো ঘূর্ণিঝড়ের প্রক্রিয়া সৃষ্টি না হওয়া।
জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘খুলনা বিভাগসহ, ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী পাবনা ও পটুয়াখালীতে টানা তীব্র তাপদাহ বইছে। এছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলায় মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে।’
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাকে মৃদু, ৩৮-৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রিকে মাঝারি, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রিকে তীব্র এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রাকে ‘অতি তীব্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ এলাকায় দাবদাহ চলছে। দাবদাহ বছরের এই সময়ের বৈশিষ্ট্য। বৃষ্টি না হলে এই সময় তাপপ্রবাহ তৈরি হয়। এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে তাপপ্রবাহ বেড়েছে। তাপপ্রবাহের সঙ্গে আর্দ্রতা বাড়ার কারণে মানুষের মধ্যে অস্বস্তি বেশি হচ্ছে। দু/তিন দিন ধরে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। ফলে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। রাতের তাপমাত্রাও কিছুটা বেড়েছে। কিন্তু এখন রাতের তাপমাত্রা ও বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং দেশের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।’
তাপপ্রবাহ বাড়লেও সম্ভাবনা নেই অতিবৃষ্টির
ইউরোপিয়ান সেন্টার ফর মিডিয়াম-রেঞ্জ ওয়েদার ফোরকাস্ট (ইপিএমডব্লিউএফ) আজ থেকে আগামী ১০ দিনের পূর্বাভাস দিতে গিয়ে বলছে, আগামী সাত থেকে আট দিন বাংলাদেশে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।
তবে আবহাওয়াবিদ মো. আবদুর রহমান খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৮ এপ্রিলের পরে দেশের কিছুস্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও তা কতটা তাপপ্রবাহ কমাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এই দাবদাহ বা তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা নির্ভর করছে বৃষ্টির উপরে।’
বায়ুদূষণের কারণেও তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হচ্ছে
জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ড. আহম্মদ কামরুজ্জমান মজুমদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘ধূলিকণা এবং দূষিত গ্যাসের তাপ শোষণ করার ক্ষমতা থাকায় বর্তমানে অত্যধিক দূষিত ধূলিকণা এবং গ্যাসীয় পদার্থগুলো সূর্যের তাপমাত্রাকে শোষণ করে তাপপ্রবাহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, কার্বন ডাইঅক্সাইডও তাপমাত্রা বাড়িয়ে থাকে। সুতরাং তাপমাত্রার বৃদ্ধি কমাতে বায়ুদূষণও কমানো জরুরি।’
এমন পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমন তীব্র তাপ প্রবাহের আবহাওয়ায় দিনের বেলা রাস্তায় পানি দেওয়া সমাধান না আর সেটা করাও ঠিক হবে না। কারণ এতে সড়ক ফেটে ক্ষতি হতে পারে। তবে ভোরে সূর্য ওঠার আগে সড়কগুলোয় বেশি করে পানি ছিটালে তাপমাত্রার নেতিবাচক প্রভাব কাটানো সম্ভব।’
তিনি বলেন, ‘যারা ঘরের বাইরে যাবেন তাদের সবার নিরাপদ পানি গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এমন পরিস্থিতিতে দিনের কর্ম ঘণ্টা কমিয়ে আনা যেতে পারে। বিশেষ করে সকাল ৯টার বদলে ৮টা থেকে অফিস-আদালতের কাজ শুরু করা যেতে পারে। এতে ছুটির হিসেবেও এক ঘণ্টা এগিয়ে আসবে।’
পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার
দেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দীন।
রোববার (১৬ এপ্রিল) তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘দেশের প্রায় সব এলাকায় তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ দেখা যাচ্ছে। ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। তার উপর আবার রোজার মাস হওয়ার কারণে মানুষের দুর্ভোগ বাড়ছে। সামনেই ঈদ, আর এমন অবস্থায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সরকারের পক্ষ থেকে। আজ ও আগামীকাল দু’দিনই পর্যবেক্ষণ শেষে তাপমাত্রা পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সেটা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ সময় তিনি শিশু, বৃদ্ধদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এই তীব্র গরমে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া ভালো। সবাইকে এ মুহূর্তে অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ থেকেও বিরত থাকতে হবে।’
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা যা বলছেন
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও গবেষণা) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই তীব্র গরমে শারীরিক ঝুঁকির মাত্রা বাড়াটা অস্বাভাবিক না। আর তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এই তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও থাকে। এক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ছায়াযুক্ত স্থানে নিতে হবে। নিরাপদ পানি, ডাব বা লেবুর শরবত পান করাতে হবে। এগুলো না পেলে স্যালাইন খাওয়াতে হবে। দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে রোগীকে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘তীব্র দাবদাহের কারণে বৃদ্ধদের হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অনেকে মারাও যেতে পারেন। হিট স্ট্রোক ঠেকাতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। সূর্যের সরাসরি আলো থেকে যতটা সম্ভব ছায়াতে থাকতে হবে। টানা পরিশ্রম না করে বিশ্রাম নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে মুখে, মাথায় পানি ঝাপটা দিতে হবে। শিশুদের ঘরের বাইরে কম বের হওয়া উচিত। রোজাদারদের ইফতারের পর নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করতে হবে।’
জানতে চাইলে প্রিভেনটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এম এইচ লেলিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই তীব্র তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট তীব্র গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের হৃদপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এ থেকে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই অবস্থাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক।’
তিনি বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়ে যায়। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন- গর্ভবতীদের মধ্যে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।’
ইতোমধ্যেই দেশে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে ডা. লেলিন এ সময় বয়স্ক, শিশু ও গর্ভবতীদের বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে সুতি কাপড় পরা, বাসার খাবার ও পানি সঙ্গে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘এ সময় শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ থেকে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।’ তাই এ সময় শিশুদের ঘরের বাইরে না যাওয়া, ফ্রিজের ঠাণ্ডা পানি ও বরফ খাওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেন ডা. লেলিন।
সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম